উৎসব

শীতের কিছু জনপ্রিয় পিঠা যা আপনি মিস করতে চাইবেন না

শীতে কোন কোন পিঠা খেতে হয়

শীতে কোন কোন পিঠা খেতে হয়! বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভাল আছেন। দেখতে দেখতে শীত চলে এলো। আর এই শীত মানেই বাঙালির আনন্দের এক অফুরন্ত সময়। কেননা এই সময়টাতে বাঙালিরা নবান্নের নতুন ধানে নতুন পিঠা তৈরি করে তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বাসায় খাইয়ে থাকে।

কেননা নবান্নের নতুন ধানে গ্রাম বাংলার গেরস্থের বাড়িতে পিঠা, পায়েস, ক্ষীরসহ অন্যান্য লোভনীয় খাদ্যদের সুগন্ধে চারদিক যেন মৌ মৌ করে। আর এই শীতের সময়টাতে বাঙালিরা তাদের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পছন্দের পিঠা পায়েস গুলি তৈরি করে থাকে। আমরা আজকে আপনাদেরকে জানাবো প্রতিবার শীতে কোন পিঠাগুলো খেতে হয় সে সম্পর্কে তাহলে চলুন জেনে নিন।

পিঠার নাম

শীতকালে পিঠার নাম মুখে নিলেই সবার প্রথমে যে নামটি আছে তা হল ভাবা পিঠা। কেননা এই সময় সবচেয়ে জনপ্রিয় পিঠা হচ্ছে ভাপা পিঠা।

পাশাপাশি অনেকেই পাটিসাপটা, নারকেল পিঠা, নারকেলের পুলি পিঠা সহ অন্যান্য পিঠা তৈরি করে থাকে। আপনি এবারের শীতে যে পিঠাগুলো তৈরি করবেন চলুন সেগুলোর নাম সম্পর্কে জানা জাক,

১/ ভাপা পিঠা

২/ পুলি পিঠা

৩/ দুধ চিতই

৪/ নারকেলের পুলি

৫/ পাটিসাপটা পিঠা

৬/ তেলের পিঠা অন্যান্য

১/ ভাপা পিঠা

আমরা সকলেই জানি ভাপা পিঠা তৈরিতে চালের গুঁড়ো প্রধান উপকরণ। এছাড়া বর্তমান সময়ে ভাপা পিটার সঙ্গে অনেকেই নারিকেল, চিনি অথবা গুড় দিয়ে তৈরি করে থাকে।

পাশাপাশি অনেকেই আবার ভাপা পিঠাকে আরো লোভনীয় করার জন্য রসমালাই মিকচার করে থাকে। যাই হোক না কেন এই পিঠাগুলো আমরা সচরাচর রাস্তাঘাটের পাশে বিভিন্ন ভ্রাম্যমান দোকানে তৈরি করতে দেখি। আর এই পিঠাটি অত্যন্ত সুস্বাদু একটি পিঠা। আপনি চাইলেই এবারের শীতে আপনার বাসার সকলের জন্য এই পিঠাটি তৈরি করতে পারেন।

২/ পুলি পিঠা

গ্রাম বাংলার সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে পুলি পিঠা অত্যন্ত পছন্দের হয়ে থাকে। তবে শহরের মেক্সিমান লোক এই পিঠার নাম খুব কমই শুনেছে। তবে যারা গ্রাম থেকে শহরে বসবাস করছে তারা এই পিঠাকে খুব ভালোভাবে চেনে।

কেননা আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের মায়েদের হাতে পুলি পিঠা অত্যন্ত সুস্বাদু ছিল। আপনি এবারের শীতে চাইলেই এই পিঠা তৈরি করতে পারেন।

৩/ দুধ চিতই

দুধ চিতই পিঠার মূল উপকরণ হলো চালের গুঁড়ো ,চিনি বা গুড় এবং দুধ। এ পিঠা তৈরিতে প্রথমে চালের গুঁড়ো ভালোভাবে পানি দিয়ে মিকচার করে পাতলা করে নিতে হবে। এরপর কড়াইতে দিয়ে তা ভেজে ছোট ছোট আকার করতে হবে।

এরপর দুধ এবং গুড় মিকচার করা হাঁড়িতে চিতই পিঠা দিয়ে সারারাত ভিজে রাখতে হবে এবং সকালে তা খেতে হবে। পিঠাটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু পূর্ণ হয়ে থাকে। গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে এ পিঠা অত্যন্ত জনপ্রিয়।

৪/ নারকেল পুলি

বুঝতেই পারছেন নারকেল পুলি পিঠার মূল উপকরণ হচ্ছে নারকেল, চালের গুঁড়ো, তেল, মিষ্টি জাতীয় উপাদান। আপনি প্রথমে চালের গুড়ো ভালোভাবে মিকচার করে ডো করে নিবেন। এরপর ছোট ছোট আকার করে সেই পিঠাগুলোর মধ্যে নারকেল ভোরে তা বন্ধ করে দিয়ে করাইতে থাকা উত্তপ্ত তেলে ভেজে নিতে হবে।

এভাবে আপনি চাইলেই খুব সহজে নারিকেল পুলি পিঠা তৈরি করতে পারেন এবং আপনার বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে এই শীতে নারকেল পুলি পিঠা খাওয়াতে পারেন।

৫/ পাটিসাপটা পিঠা

আমরা অনেকেই পাটিসাপটা পিঠার নাম শুনেছি কিন্তু এটি তৈরিতে অনেক উপকরণ লাগার কারণে অনেকেই হয়তো এখনো বাসায় তেমনভাবে এই পিঠাটি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। কেননা এই পিঠাটি তৈরি করতে দুধ, নারকেল, গুড় বা চিনি, এলাচ, লবণ রসমালাই এসব উপাদানের প্রয়োজন হয়।

আর এসব উপকরণ দিয়ে তৈরি ক্রিত পিঠাটি অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে থাকে। যা আত্মীয়দের কে আপ্যায়ন করার জন্য একটি মানসম্মত পিঠা বলে মনে করা হয়। এবারের শীতে আপনি চাইলেই এই পিঠাটিও তৈরি করতে পারেন।(শীতে কোন কোন পিঠা খেতে হয়)

৬/ তেলের পিঠা

তেলের পিঠা বলতে আমরা তেল দিয়ে তৈরি পিঠাকে বুঝে থাকি। অর্থাৎ যে পিঠা তৈরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেলের প্রয়োজন হয় তাকে তেলের পিঠা বলে। আমরা মনে করতে পারি এক্ষেত্রে অন্ধসা পিঠা, নারকেল পিঠা সহ অন্যান্য পিঠা তেল পিঠার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। তেল পিঠা তাদের জন্য উপযুক্ত নয় যাদের অনেক বেশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে।

কেননা এই পিঠাটি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। এজন্য বর্তমান সময়ে তেল পিঠার চাহিদা অনেক কম এবং অনেকেই এই পিঠা তৈরি করে না। তাই আপনার যদি এ ধরনের সমস্যা না থাকে তাহলে এবারের শীতে আপনার পছন্দের তেল পিঠাগুলো তৈরি করতে পারেন।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।