খেলাধুলা

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের দৃষ্টিনন্দন ১০টি স্টেডিয়াম

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম সংখ্যা কয়টি

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম সংখ্যা কয়টি! কাতার ইতোমধ্যেই সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন এবং ব্যয়বহুল স্টেডিয়াম বানিয়ে বিশ্বকে ইতোমধ্যে তাগ লাগিয়ে দিয়েছে।

২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজন করবে আমেরিকা, মেক্সিকো এবং কানাডা। ইতিহাসে এটাই প্রথম বিশ্বকাপ যেখানে তিনটি দেশ মিলে আয়োজন করা হচ্ছে এবং প্রথমবারের মতো ৪৮ টি দল নিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে একটি বিষয় হচ্ছে ২০২৬ বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে। কাতার বিশ্বকাপে আয়োজক দেশ কাতার আটটি স্টুডিয়াম তৈরি করেছিল।

কিন্তু এবারে দলের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তিনটি দেশের মোট ১৬ টি ভেন্যুতে ২০২৬ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। এ থেকে বুঝা যায় যে ২০২৬ বিশ্বকাপটি বিগত সকল বিশ্বকাপকে ছাড়িয়ে যাবে। আমরা আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে জানবো ২০২৬ বিশ্বকাপের দৃষ্টিনন্দন  ১০ টি স্টেডিয়াম সম্পর্কে।

১/ সোফি স্টেডিয়াম, যুক্তরাষ্ট্র

বিখ্যাত এই স্টেডিয়ামটি আমেরিকার লস এঞ্জেলে অবস্থিত। ২০২০ সালে স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়। এটি আমেরিকার সবচেয়ে ব্যভিহুল স্টেডিয়াম।

স্টেডিয়ামটিতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার। বাংলা টাকায় ৪৫০০০ কোটি টাকা। আন অফিসিয়ালি প্রায় ১ লক্ষ ১০ হাজার দর্শক এই স্টেডিয়ামটিতে খেলা দেখতে পারবে। বলতে পারেন পৃথিবীর সবথেকে ব্যয়বহুল স্টেডিয়াম এটি। কেননা আধুনিকতার সকল ছোঁয়া এখানে রয়েছে। দর্শকরা খুব সাজ ছন্দে তার প্রিয় দলের খেলা এই স্টেডিয়ামে বসে দেখতে পারবে। এখানে রয়েছে ভিআইপি রুমসহ জনসাধারণের জন্য এসি নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা

সোফি স্টেডিয়াম, যুক্তরাষ্ট্র

২/ বিএমও ফিল্ড স্টুডিয়াম, কানাডা

২০২৬ বিশ্বকাপের সব থেকে ছোট স্টুডিয়াম হচ্ছে এটি। ২০০৭ সালে এই স্টেডিয়ামটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। যদি বলা হয় ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য সবথেকে খোলামেলা স্টেডিয়াম কোনটি তাহলে বি এম ও স্টুডিয়াম সবার প্রথম হবে। মাত্র ৩০ হাজার ধারণক্ষমতা এই স্টেডিয়ামটি কানাডার সবথেকে ছোট স্টুডিয়াম

বিএমও ফিল্ড স্টুডিয়াম, কানাডা

৩/ বিসি স্টেডিয়াম, কানাডা

কানাডার সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্টুডিয়াম হচ্ছে এটি। সাধারণ ডিজাইন এবং স্থাপনার জন্য এই স্টেডিয়ামটি হয়ে উঠেছে সবার থেকে আলাদা। অপরূপ সুন্দর এই স্টেডিয়ামটি ব্রিটিশ কলম্বিয়া শহরে অবস্থিত। ২০২৬ বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ সহ অনেকগুলো ম্যাচ এখানে অনুষ্ঠিত হবে।

এর কারণ কানাডার সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম হচ্ছে এটি। অন্যান্য সব স্টেডিয়াম থেকে এই স্টেডিয়ামের ডিজাইন একদমই আলাদা। স্টুডেন্টটিতে দর্শক ধারণক্ষমতা ৬৩ হাজার। স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছিল ১৯৮৩ সালে

বিসি স্টেডিয়াম, কানাডা

৪/ বিবিভিএ স্টেডিয়াম, মেক্সিকো

স্টুডেন্টটি মেক্সিকোতে অবস্থিত। এই অসাধারণ স্টুডিয়ামটি ২০১৫ সালে প্রথম উদ্বোধন করা হয়। স্টুডিয়ামটি অত্যন্ত ইউনিক আধুনিকতার সকল ছওয়া এখানে রয়েছে।

এখানে ফুটবলপ্রেমী দর্শকরা তাদের পছন্দের দলের খেলা দেখার পাশাপাশি পাহাড়ের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবে। স্টুডেন্টের দর্শন ধারণক্ষমতা ৫৫ হাজার।

বিবিভিএ স্টেডিয়াম, মেক্সিকো

৫/ অ্যাক্রুন স্টেডিয়াম, মেক্সিকো

স্টুডিয়ামটি দেখতে তেমন জাল-জমক না হলেও এটি মেক্সিকোর মধ্যে অন্যতম সেরা স্টেডিয়াম বলে   বিবেচনা করা হয়। ইসটুডিয়ামটি মেক্সিকোর জালিম শহরে অবস্থিত।

২০১৯ সালে স্টুডিয়ামটি উদ্বোধন করা হয়। তবে ২০২৬ সালের জন্য এটিকে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করা হচ্ছে। স্টুডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা রয়েছে ৫৩০০০।

অ্যাক্রুন স্টেডিয়াম, মেক্সিকো

৬/ অ্যাজটেক স্টুডিয়াম, মেক্সিকো

মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম এবং মেক্সিকোর সবচেয়ে জনপ্রিয় সবচেয়ে বড় স্টুডিয়াম। ১৯৭০ এবং ১৯৮৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

যেহেতু আকারে বড় তাই অনায়াসে ৯০ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা উপভোগ করতে পারে এই স্টেডিয়ামে। ১৯৬৬ সালে তৈরি করা এই স্টেডিয়ামটিতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ বিশ্বকাপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।

অ্যাজটেক স্টুডিয়াম, মেক্সিকো

৭/ হার্ড রক স্টেডিয়াম মায়ামি, যুক্তরাষ্ট্র

আমেরিকার ফ্লোরিডা শহরে অবস্থিত স্টেডিয়ামটি একটি অসাধারণ স্টেডিয়াম। অসম্ভব আকর্ষণীয় এই স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। আরেকটি বিশেষ বিষয় হচ্ছে অধিকাংশ স্টেডিয়াম দেখতে গোলাকার হলেও এই স্টেডিয়ামটি পুরো স্কয়ার শিপের মত। এজন্য এই স্টেডিয়ামটিকে সবচেয়ে ইউনিক স্টেডিয়াম বলা হয়ে থাকে।

এসটুডিয়ামটির পাশে প্রায় ২৭ হাজার গাড়ি পার্কিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। স্টুডিয়ামটির মধ্যে প্রায় ৭৭ হাজার মানুষ খেলা দেখতে পারবেন। স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৮০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।

হার্ড রক স্টেডিয়াম মায়ামি, যুক্তরাষ্ট্র

৮/ লিংকন ফিনান্সিয়াল ফিল্ড, পেন্সিলভিনিয়া

আমেরিকার এই স্টেডিয়ামটি দ্য লিংক নামে পরিচিত। পেনসিলভেনিয়া শহরে এই স্টেডিয়ামটি অবস্থিত। এই স্টুডিয়ামটি একটি ছাদবিহীন স্টেডিয়াম। ২০০২ সালে স্টেডিয়ামটি তৈরি করা হয়েছিল।

স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা প্রায় ৭০ হাজারের বেশি। এই উন্মুক্ত স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৬৮০০ কোটি টাকা।

লিংকন ফিনান্সিয়াল ফিল্ড, পেন্সিলভিনিয়া

৯/ জিলেট স্টেডিয়াম বুস্টোন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

চোখ বাঁধানো এই স্টেডিয়ামটি আমেরিকার ম্যাচা চুয়েছে অবস্থিত। ২০০২ সালে নির্মাণ করা হয় এই স্টেডিয়ামটি এবং এটি ছাদবিহীন একটি স্টেডিয়াম।

এই স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণ ক্যাপাসিটি ৭০ হাজার। স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো বা ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

জিলেট স্টেডিয়াম বুস্টোন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

১০/ লুমেন ফিল্ড স্টেডিয়াম সিয়াটল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

অসাধারণ মনোমুগ্ধকর এ স্টুডিয়ামটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত। ২০০২ সালে তৈরি করা স্টেডিয়ামটির দৈর্ঘ্য এত বিশাল যে এখানে একসঙ্গে ৭২ হাজার দর্শক বসে খেলা দেখতে পারবে।

স্টেডিয়ামটির  বিশেষ একটি বিশেষত্ব হল যে স্টুডিয়ামের দুই পাশে প্রায় ২ হাজারের বেশি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেডিয়ামটি তৈরি করতে  প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৬৩০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে। (২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম সংখ্যা কয়টি)

লুমেন ফিল্ড স্টেডিয়াম সিয়াটল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

বন্ধুরা ২০২৬ বিশ্বকাপের ১০ টি স্টেডিয়ামের মধ্যে আপনার কাছে কোন স্টুডিয়ামটি সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানিয়ে দিন এবং ২০২৬ বিশ্বকাপের সকল আপডেট পেতে আমাদের সাইটির সঙ্গেই থাকুন।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।