ব্যবসায় উদ্যোগ

১ আনা সোনার দাম ২০২৪ (২২/২১/১৮ ক্যারেট) বাংলাদেশে কত

১ আনা সোনার কত

১ আনা সোনার কত! বন্ধুরা আপনারা সবাই তো সোনার দাম সম্পর্কে জানতে চান। সোনা যে শুধু মহিলাদের সাজসজ্জার কাজে ব্যবহৃত হয় এমনটা নয়।

কেননা আমাদের বিপদের সময়ও স্বর্ণ অনেক কাজে লাগে। বর্তমান বিশ্বের প্রতিটি দেশ মুদ্রাস্ফীতি তে জর্জরিত। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশেও স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়। আর বাংলাদেশের স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি বাজুস। তাই আজকের পোস্টটি সোনার দাম সম্পর্কে হতে যাচ্ছে তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আজকের পোস্ট,,

বর্তমান সোনার বাজার –বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি কর্তৃক আজকের স্বর্ণের বাজার দর নিয়ে আমাদের এ আর্টিকেল। আশাকরি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। দৈনন্দিন জীবনে স্বর্ণের প্রয়োজনীয়তা কি তা আপনাদের আলাদা করে বোঝানোর কোন দরকার হবে না বলে মনে করি।

তবে অনেকেই আছেন বর্তমান সোনার বাজার জানতে আগ্রহী। অনেক ভদ্র লোক আছেন যাদের পরিবারে কোনো এক অনুষ্ঠানে শোনার প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রতি আনা সোনার দাম জেনে নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি বাজুস স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে

বিভিন্ন বিয়ে, অনুষ্ঠানে স্বর্ণের প্রয়োজন হয় । তাই স্বর্ণের দাম জানা আপনাদের জন্য খুবই জরুরী । আপনারা জানেন যে , বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের দাম এর উপর অভ্যন্তরীণ বাজারগুলোতেও স্বর্ণের দাম পরিবর্তন হয়। তাই আজকে আমরা এর মাধ্যমে ২২, ২১ এবং ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম কত সে সম্পর্কে জানব।

বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি বাজুস স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করে থাকে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে স্বর্ণের দাম কত সামনে জানাবো। আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন। এবং স্বর্ণের দাম কত সেটা জেনে নিবেন। আমরা হয়তো অনেকেই স্বর্ণের মাপ সম্পর্কে তেমন ভাল জানিনা বা বুঝিনা।

কিন্তু আমরা সচরাচর শুনে থাকি এক ভরি, এক রতি ও এক আনা সহ অনন্য মাপের কথা। আজকে আমরা স্বর্ণের দাম জানার আগে জেনে নিব স্বর্ণের মাপ সম্পর্কে।

৬ রতি ১ আনা
১৬ আনা ১ ভরি
১ ভরি ১১ দশমিক  ৬৬ গ্রাম প্রায়
১ কেজি ৮৫ দশমিক ৭৩ ভরি

তাহলে বন্ধুরা আমরা জানলাম ছয় রতি স্বর্ণ সমান এক আনা, ষোল আনা সমান হচ্ছে এক ভরি । এবং এক ভরি স্বর্ণ সমান হচ্ছে ১১.৬৬ গ্রাম প্রায়। এবং ১ কেজি স্বর্ণ সমান ৮৫দশমিক ৭৩ভরি। তাহলে বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে চলুন এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

আপনারা অনেকেই জানতে চাচ্ছেন বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী ২২ক্যারেট স্বর্ণের দাম কত । আজকে আমরা এর মাধ্যমে সকল তথ্য উপস্থাপন করব । ২২ ক্যারেট ১ আনা স্বর্ণের দাম ৬,৯১৮ টাকা।দুই আনা স্বর্ণের দাম ১৩ হাজার ৮৩৬ টাকা এবং ২১ ক্যারেট ১ আনা স্বর্ণের দাম ৬,৬০৮ টাকা এবং দুই আনা স্বর্ণের দাম ১৩,২১৬ টাকা।

১৮ ক্যারেট ১ আনা স্বর্ণের দাম ৫,৬৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি। এছাড়াও পুরানা ১ আনা স্বর্ণের দাম ৪,৯৮৬ টাকা।

সোনার পরিমাণ        ২২ ক্যারেট (দাম)        ২১ ক্যারেট (দাম)        ১৮ ক্যারেট (দাম)

১ আনা সোনার দাম

৭,৩৫০ ৭,০১২

৬,০১৪

২ আনা সোনার দাম

১৪,৭০০ ১৪,০২৪ ১২,০২৮
৩ আনা সোনার দাম ২২,০৫০ ২১,০৩৬

১৮,০৪২

৪ আনা সোনার দাম

২৯,৪০০ ২৮,০৪৮ ২৪,০৫৬
৫ আনা সোনার দাম ৩৬,৭৫০ ৩৫,০৬০

৩০,০৭০

৬ আনা সোনার দাম

৪৪,১০০ ৪২,০৭২ ৩৬,০৮৪
৭ আনা সোনার দাম ৫১,৪৫০ ৪৯,০৮৪

৪২,০৯৮

৮ আনা সোনার দাম

৫৮,৮০০ ৫৬,০৯৬ ৪৮,১১২
৯ আনা সোনার দাম ৬৬,১৫০ ৬৩,১০৮

৫৪,১২৬

১০ আনা সোনার দাম

৭৩,৫০০ ৭০,১২০ ৬০,১৪০
১১ আনা সোনার দাম ৮০,৮৫০ ৭৭,১৩২

৬৬,১৫৪

১২ আনা সোনার দাম

৮৮,২০০ ৮৪,১৪৪ ৭২,১৬৮
১৩ আনা সোনার দাম ৯৫,৫৫০ ৯১,১৫৬

৭৮,১৮২

১৪ আনা সোনার দাম

১,০২,৯০০ ৯৮,১৬৮ ৮৪,১৯৬
১৫ আনা সোনার দাম ১,১০,২৫০ ১,০৫,১৮০

৯০,২১০

১৬ আনা সোনার দাম

১,১৭,৬০০ ১,১২,১৯২ ৯৬,২২৪
১ কেজি সোনার দাম ১,০০,৮১,৮৪৮ ৯৬,১৮,২২০

৮২,৪৯,২৮৩

বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি নতুন স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছে । আজকে আমরা এ আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব । ২২ ক্যারেট ক্যাডমিয়াম প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯,৫২৩ টাকা।

২১ ক্যারেট ক্যাডমিয়াম প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ৯,০৯২ টাকা। ১৮ ক্যারেট প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ৭,৭৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি গ্রাম স্বর্ণের মূল্য ৬,৩২০ টাকা।এছাড়া বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি রুপার দাম নির্ধারণ করেছে।

ভরি প্রতি ( ১৮,২১,২২) স্বর্ণের কত

২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি– প্রথমে আপনাদের উদ্দেশ্যে ২২ ক্যারেট প্রতি আনার সোনার মূল্য জানিয়ে দিতে চাই। ২২ ক্যারেট প্রতি আনা সোনার মূল্য ৬,৯১৮ টাকা। আপনারা জানেন যে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম সবচেয়ে বেশি। কারণ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের পরিমাণ ৯১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১,১০,৬৮৮ টাকা।

২১ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি– ২১ ক্যারেট স্বর্ণের ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ খাঁটি স্বর্ণ থাকে। আর বাকি এলুমিনিয়াম, তামা, লোহা ও অন্যান্য উপাদান দিয়ে ২১ ক্যারেট স্বর্ণকে মসৃণ করে বিক্রি করা হয়। বর্তমান বাজারে এক ভরি ২১ ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য ১,০৫,৭২৮ টাকা।

১৮ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি- ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের বিশুদ্ধতার মান কম থাকে যার কারনে এর চাহিদা ও দাম তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। আজকের বাজারে ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০,৫৬০ টাকা।

এক আনা স্বর্ণের মূল্য-আপনার অনেকে জানতে চান বর্তমান সময়ে এক আনা স্বর্ণের দাম কত। আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে জানাচ্ছি। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি নতুন করে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছে।বর্তমানে বাংলাদেশের এক আনা স্বর্ণের মূল্য ২২ ক্যারেটের দাম ৬,৯১৮ টাকা।

২১ ক্যারেট স্বর্ণের এক আনার মূল্য ৬,৬০৮ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য ৫,৬৬০ টাকা। পুরাতন গহনা সোনার এক আনার মূল্য ৪,৯৮৬ টাকা।

২১ ক্যারেটের রুপার দাম– তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ১৭ হাজার ১৪ টাকা।

২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১৬ হাজার ৩২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ১৩ হাজার ৯৯ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ৯৩৩ টাকা অপরিবর্তিত আছে।দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোনার ব্যবহার

সোনা হলো একটি অমূল্য সম্পদ। আমরা অনেকেই জানি সোনাকে শুধুমাত্র সাজসজ্জার জন্য ব্যবহার করা হয়। আসলে এমনটি নয়। সোনাকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে, মুদ্রা তৈরিতে, ব্যবসায়িক বিনিয়োগ করতে, অলঙ্কার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও অনেক দেশ রয়েছে যারা সোনাকে তাদের রিজার্ভের সংরক্ষিত রাখে বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দাকে মোকাবেলা করতে। চলুন জেনে নেই এরকমই কয়েকটি ব্যবহার।

অলঙ্কার তৈরিতে

সোনা অলঙ্কার তৈরিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ধাতু হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশেষ করে বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানে আংটি তৈরিতে ও অন্যান্য অলঙ্কার তৈরিতে সোনাকে ব্যবহার করা হয়।

মুদ্রা তৈরিতে

সোনার যেহেতু একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং টেকসই ধাতু। তাই এটিকে বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান মুদ্রা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। যা অনেকদিন যাবত সংরক্ষণ করা যায়।

চিকিৎসা শাস্ত্রে ব্যবহার

সোনা কিছু সংখ্যক ঔষধ তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় সোনার ক্লোরাইড একটি এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে সোনাকে শুধুমাত্র অলঙ্কার, মুদ্রা এবং বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

রিজার্ভ হিসেবে ব্যবহার

সোনাকে অনেক দেশ মুদ্রার বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ সোনা মজুদ করা আছে। কারণ অর্থনৈতিক মন্দাকে দূর করার জন্য সোনা একটি কার্যকারী মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। আরেকটি বিষয় টাকার মান বা অন্যান্য দেশের মুদ্রার মান কমে গেলেও সোনার মান কখনোই কমে যায় না। যার কারণে সোনাকে বিভিন্ন দেশ রিজার্ভ করে রাখে।

সর্বশেষ কথা

বন্ধুরা আমরা আমাদের এই সাইটে প্রতিদিন সোনা ও রুপার দাম আপডেট দিয়ে থাকি। আপনারা যদি বর্তমান সময়ে প্রিয়জনদের জন্য সোনা বা রুপা ক্রয় করতে চান তাহলে আমাদের সাইটের নির্দেশনা মেনে ক্রয় করতে পারেন। এতে করে আপনি উপকৃত হবেন বলে আমরা আশা করি।

আর এই রকমই আমরা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলোর আপডেট নিউজ আপনাদেরকে দেওয়ার চেষ্টা করি। এই মুহূর্তে আপনার কোন জিনিসটি ক্রয়ের প্রয়োজন তা আমাদের সাইটে সার্চ দিয়ে সন্ধান করুন এবং সঠিক তথ্যটি জেনে নিন ধন্যবাদ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।