ট্রাভেল

কর্ণফুলী টানেল বদলে দিবে দেশের অর্থনীতি সাথে যানজট মুক্ত হবে চট্টগ্রাম

কর্ণফুলী টানেলের উপকারিতা! বাংলাদেশের যতগুলো মেগা প্রজেক্ট চলমান রয়েছে তার মধ্যে কর্ণফুলী টানেল অন্যতম। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই সুরঙ্গের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।

কর্ণফুলী টানেলের উপকারিতা

এটি বাংলাদেশের প্রথম সুরঙ্গ পথ এবং দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশে স্থাপিত সুরঙ্গ। ঢাকা-চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল আরো নির্বিঘ্ন করতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কর্ণফুলী টানেল ব্যাপক অবদান রাখবে। বাংলাদেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প কর্ণফুলী টানেল সম্পর্কে আজকে আমরা জানবো আমাদের এই পোস্টের মাধ্যমে। আশা করি পোস্টটি স্ক্রিপ্ট না করে পুরোটি পড়বেন। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্টটি,,,

চীনের সাংয়ের  One City Two মডেলের আদলে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম কে গড়ে তুলতে কর্ণফুলী নদীর অপর পাড়ে ব্যাপক বাণিজ্যিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়। একদিকে চট্টগ্রামের মূল শহর এবং অপরদিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা কে সংযুক্ত করবে কর্ণফুলী টানেল। এই টানের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার

প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য ২.৪৫ কিলোমিটার এবং ব্যাস ১০.৮০ মিটার। প্রতিটি টিউবে দুটি করে মোট চারটি লেন থাকবে। সুরঙ্গটির মূল দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার হলেও এর দুই পাশে পাঁচ কিলোমিটারের বেশি সংযোগ সরক সহ এবং আনোয়ারা অংশে ৭২৭ মিটার দীর্ঘের একটি ফ্লাইওভার থাকবে। চট্টগ্রাম শহর প্রান্তের নেভার একাডেমির পাশ দিয়ে শুরু হওয়া এই সুরঙ্গ নদীর দক্ষিণ প্রান্তের আনোয়ারা কর্নারের চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড কারখানার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে নদীর দক্ষিণ প্রান্তে পৌঁছাবে। কর্ণফুলী নদীর ১৫০ ফুট গভীরে সুরঙ্গটি নির্মাণ করা হয়েছে।

কর্ণফুলী টানেলের ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপন

এই সুরঙ্গের মধ্য দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হবে। সুরঙ্গটি নির্মিত হলে এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম সুরঙ্গ পথ। শুধু তাই নয় এটি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কোন নদীর তলদেশে নির্মিত প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক চুড়ঙ্গ পথ। বঙ্গবন্ধু সুরঙ্গ চালু হলে রাজধানী ঢাকা শহর সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী গাড়িগুলোকে আর মূল চট্টগ্রাম শহরের বুকে ঢুকতে হবে না। সিটি রাউটার রিং রোডের মাধ্যমে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে। ফলে চট্টগ্রাম নগরে যানবাহনের চাপ অনেক কমে যাবে এছাড়া ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব কমবে প্রায় ৫০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার কমে আসবে। ফলে কর্ণফুলী টানেল কে ঘিরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে।

২০১৬ সালের ১৪ই অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের রাষ্ট্রপতি কর্ণফুলী টানেলের ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এই সুরঙ্গ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নদীর নিচে দুটি সুরঙ্গসহ দুটি টানেলের প্রায় ৯৫% কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।

এখন টানেলের সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য জেনারেটর স্থাপন বাতাস ও অক্সিজেন পরিবহনের প্রযুক্তি স্থাপন ডেকোরেটিভ ওয়াল, ফায়ারওয়াল, ওপেন কার্ড এরিয়া, ছাওনিসহ কেবল লাইন লাইটিং এর কাজ চলছে। তবে পরীক্ষামূলকভাবে ইতোমধ্যেই নদীর তলদেশে এই সুরঙ্গ দিয়ে গাড়িও চালানো হয়েছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ করার জন্য কর্তৃপক্ষ আরো ৬ মাস সময় চেয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে রঙ্গের একটি লেন চালুর সম্ভাবনা রয়েছে এবং সম্পূর্ণ টানের খুলে দিতে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সময় লাগবে।

 চট্টগ্রাম শহরের দিক থেকে পাঁচটি সড়ক দিয়ে কর্ণফুলী টানেলে যাওয়া যাবে। সড়ক গুলি হল(১) আউটার রিং রোড, (২) এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, (৩) কাঠগড় সড়ক, (৪) এয়ারপোর্ট সড়ক এবং (৫)পতেঙ্গা বীজ সড়ক। এই পাঁচটি সড়ক থেকেই টানেলে প্রবেশের পথ থাকবে। চট্টগ্রাম শহরের অপর পাশে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণে আরো রয়েছে চায়না ইপিজেড, চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা, পার কি সমুদ্র সৈকত সহ বহু নির্মাণাধীন বেসরকারি শিল্পাঞ্চল। এই সড়ক দিয়ে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে সহজেই যাতায়াত করা যাবে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর এবং মীর সরাই ইকোনোমিক জনের মধ্যে যোগাযোগের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

বঙ্গবন্ধু টানলের কারণে কক্সবাজার পর্যন্ত দেশের সর্ববৃহৎ ইকনমিক জন গড়ে উঠবে। এছাড়া এই সুরঙ্গ হবে এশিয়ান হাইওয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ে গার্মেন্টস, জাহাজ নির্মাণ, ভোজ্য তেল, মাছ প্রক্রিয়াকরণ, ইস্পাত ও সিমেন্ট সহ অন্তত আশিটি শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

বঙ্গবন্ধু টানেল এর কাজ যত এগিয়েছে ততই স্থাপিত হচ্ছে নতুন নতুন শিল্পকারখানা। সেই সাথে আসছে বহু নতুন বিনিয়োগ। এই অঞ্চলে থাকা পুরনো অনেক কারখানা সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই কোরিয়ান ইপিজেডে চারটি পোশাক কারখানা যুক্ত হয়েছে এবং চায়না ইপিজেডে আরো ১৫ টি দেশি-বিদেশি পোশাক কারখানায় বিনিয়োগের প্রস্তুতি চলছে। অতিতে এই অঞ্চলের মাত্র ২ শতাংশ জমি শিল্প খাতে ব্যবহার করা হয়েছে।

টানেল চালু হলে এখানকার প্রায় ২৭ শতাংশ জমি শিল্প উন্নয়নের জন্য ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আনোয়ারা উপজেলায় কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে দেশের শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান আকিজ গ্রুপ, পারটেক্স গ্রুপ সহ শত শত প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার একর জমি কিনে রেখেছে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের সাথে দেশের অন্যান্য অংশের যোগাযোগ হয় শাহ আমানত সেতু এবং কালুরঘাট সেতু দিয়ে। কর্ণফুলী টানেল চালু হলে পরিবহন খরচ এবং সময় দুটোই বাজবে। এই অঞ্চলে আন্তর্জাতিক মানের গভীর সমুদ্র বন্দর এবং বিমানবন্দর থাকায় কর্ণফুলী টানেল কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপক গতি পাবে।

সুরঙ্গ নির্মাণের ব্যয়

 কর্ণফুলী নদীর তলদেশে সুরঙ্গ নির্মাণের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯,৮৮০ কোটি টাকা। পরবর্তীতে এই ব্যয় দাঁড়ায় ১০,৩৭৪ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী চীনের একজিম ব্যাংক ৫,৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। দুই শতাংশ হারে সুদসহ সম্পূর্ণ টাকা ২০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া প্রকল্পের বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

তবে বঙ্গবন্ধু টানেলের ব্যয় আরো বাড়ানো হয়েছে। টানেলের নির্মাণ সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৭০০ কোটি টাকার দরকার হবে। প্রকল্প কতৃপক্ষ বলছে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে প্রকল্প ব্যয়। এছাড়া সুরঙ্গের জন্য নতুন করে স্ক্যানার কিনতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবে। সব মিলিয়ে টানেলের মোট ব্যয় ১১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

কর্ণফুলী টানেলের টোল নির্ধারণ

কর্ণফুলী টানেলের টোল নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পদ্মা সেতুর টোল বেশি হলেও পদ্মা সেতুর বিকল্প আর কোনো পথ নেই। তাই পদ্মা নদী পারাপারে যানবাহন গুলো অধিক টোল দিতে বাধ্য। কিন্তু যেহেতু কর্ণফুলী টানেল এর বিকল্প পথ রয়েছে তাই এই প্রকল্পে টোলের হার বেশি হলে অধিকাংশ মানুষ শাহ আমানত সেতু ব্যবহার করবে।

সে ক্ষেত্রে এত ব্যয়ে নির্মিত এই সুরঙ্গ জনগণের তেমন কাজে আসবেনা। কর্ণফুলী টানেরের সুফল অনেকটাই নষ্ট হতে পারে এর যানবাহন ব্যবস্থায় যথেষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ না করার কারণে। যেহেতু পাঁচটি প্রধান সড়ক এই সেতুর প্রবেশদ্বারে একত্রিত হবে। সেহেতু যানবাহনের যথেষ্ট চাপ তৈরি হবে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার নির্মাণাধীন গোল চত্বরে যান চলা চল ব্যবস্থাপনা সহ ১২ টি ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে। এই গোল চত্বর হয়েই টানেলে গাড়ি আসা যাওয়া করবে।

অর্থাৎ চট্টগ্রাম শহরের দিকে প্রয়োজনীয় সড়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার দায়িত্বে ছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং টানেলের দক্ষিণ প্রান্তে অর্থাৎ আনোয়ারার দিকে অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরিকল্পনার জন্য সেতু বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া সুরঙ্গ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, নির্মাণকারী সংস্থা চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং অভি আরব এন্ড পার্টনার হংকং লিমিটেড যৌথভাবে টানের নির্মাণের কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা করেছিল। কিন্তু কোন পরিকল্পনা বা সমীক্ষায় যান চলাচলের প্রকৃত সম্ভাবনা উঠে আসেনি।

সমীক্ষায় ধারণা দেওয়া হয়েছিল সুরঙ্গ চালুর প্রথম বছর টানেল দিয়ে ৬৩ লাখ গাড়ি এবং ২০৩০ সালের  পরে কক্সবাজারের গভীর সমুদ্র বন্দর এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল গুলো চালু হওয়ার পর বছরে ১ কোটি ৫৯ লাখ গাড়ি এই পথে চলাচল করতে পারে। এর অর্ধেকই হবে পুণ্যবাহী গাড়ি। প্রথম দিকে টানেল দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও দশ বছর পর টানেলের যান চলাচল অস্বাভাবিকভাবে বিঘ্নিত হবে। সে বিষয়ে সকলেই নিশ্চিত।

এছাড়াও টানেলের কাছে একাধিক সড়কের বিভিন্ন মোড় এবং এক সড়ক থেকে আরেক সড়কের যাওয়ার ব্যবস্থায় অনেক জটিলতা রয়েছে। এই অব্যবস্থাপনার জন্য সেতু কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করছে। এত বড় মেঘা প্রকল্পে এ ধরনের ত্রুটিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন এগুলোকে পরিকল্পিত উন্নয়ন বলা যায় না। এটা অনেকটা জোড়া তালি দিয়ে অস্থায়ী সমাধানের মত।

এর চেয়েও আশঙ্কার আরেকটি বিষয় হলো, পতেঙ্গা থেকে নেভাল একাডেমী পর্যন্ত প্রায় ১.১ কিলোমিটার এলাকায় কোন বাদ নেই। বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসে মোহনার এই অংশ দিয়ে পানি ঢুকে কর্ণফুলী টানেল প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রকল্প কর্তৃপক্ষের দাবি টানেলে ফ্ল্যাট গেট থাকার কারণে টানেলের ভিতরে পানি ঢোকার কোন সুযোগ নেই। তবে বিষয়টিকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বলছে আউটার রিং রোডের বাঁধের আদলে এখানেও দেয়াল নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশের জনগণের টাকায় নির্মিত ব্যয়বহুল এই প্রকল্পে যেন কোন ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে সেটাই সকলের কাম্য।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন কর্ণফুলী টানেল সম্পূর্ণ চালু হলে এই অঞ্চলের অগ্রগতি সমগ্র দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখে। কর্ণফুলী টানের মতই দেশের অন্যতম মেঘা প্রকল্প ঢাকা মেট্রোরেলের কয়টি ভাগ রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র তিনটি লাইন নির্মাণ করতেই প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। উড়ালপথ এবং পাতাল রেলের সমন্বয়ে ঢাকা মেট্রোরেল কেমন হবে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে ফলো করুন আমাদের পরবর্তী পোস্টটি ধন্যবাদ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।