ট্রাভেল

রোলস রয়েস VS ল্যাম্বরগিনি জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে কে এগিয়ে

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি কার

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি কার! রোলস রয়েস এবং ল্যাম্বরগিনি এই দুটি গাড়িকে লাগজারিয়াস গাড়ি হিসেবে ধরা হয়। আপনি যদি পৃথিবীর সবথেকে দামি গাড়ির তালিকা করেন তাহলে সবার উপরে থাকবে রোলস রয়েস এবং ল্যাম্বরগিনি। এই দুটি গাড়ি পুরো পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। কিন্তু আমাদের মাঝে প্রশ্ন জাগে এই দুটি গাড়ির মধ্যে কোন গাড়িটি সেরা রোলস রয়েস নাকি ল্যাম্বরগিনি। তাহলে চলুন আজকে আমরা এই পোস্টে মাধ্যমে জেনে নেই সব দিক দিয়ে কোন গাড়িটি সেরা।

ল্যাম্বরগিনি

বন্ধুরা প্রথমে আমরা ল্যাম্বরগিনি গাড়ি সম্পর্কে জেনে নেই। স্পোর্টস কারের জগতে একটি অন্যতম আইকনিক নাম হচ্ছে ল্যাম্বরগিনি। আর এটি এমন একটি গাড়ি কোম্পানি যেটি খুবই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

ল্যাম্বরগিনি যাত্রা শুরু পর থেকে আজ পর্যন্ত সব স্টাইলিশ এবং ধাঁধানো বিভিন্ন ডিজাইনের মাধ্যমে গাড়িপ্রেমীদের মাঝে জায়গা করে নিয়েছে। যার কারণে সুপারভেষ মানুষেরা গাড়ি কিনতে গেলে সবার আগে যে গাড়িটি চয়েজ করে থাকে সেটি হচ্ছে ল্যাম্বরগিনি।

ল্যাম্বরগিনি কোম্পানির ইতিহাস

বিশ শতকের শুরুর দিকে ফেরারি কোম্পানি যখন তাদের প্রথম গাড়ি তৈরি করেছিল তখন সেই গাড়িটির ডিজাইন দেখে ফেরোসিয়াস ল্যাম্বরগিনি অপছন্দ করেছিল।

তারপর একদিন ফেরোসিয়াস ল্যাম্বরগিনি ফেরারি কোম্পানির অনার এর কাছে যায় এবং তাকে বলে আপনার এই গাড়িটির ডিজাইন একেবারেই খারাপ। যার ফলে আপনার এই গাড়িটি মার্কেটে তেমনভাবে সারা ফেলতে পারবে না। তাই আপনি এই গাড়িটির ডিজাইন অন্য ভাবে করতে পারেন। এরপর ফেরারি কোম্পানির মালিক তাকে উত্তর দিয়েছিল তুমি একজন সাধারন চাষীর ছেলে তুমি গাড়ি সম্পর্কে কি বুঝ।

এছাড়াও তিনি আরো বলেছেন তুমি শুধুমাত্র চাষীদের জন্য জমি চাষ করতে পারো। তোমার দ্বারা কখনো একটি গাড়ি ডিজাইন করা সম্ভব নয়। এছাড়াও আরো অনেক কটুক্তি মূলক কথা বলে অপমান করে ফেরোসিয়াস ল্যাম্বরগিনিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। যা ফেরোসিয়াস ল্যাম্বরগিনিকে মর্মাহত করেছিল। এরপর ফেরোসিয়াস ল্যাম্বরগিনি পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করে ১৯৬৩ সালে ল্যাম্বরগিনি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।

ল্যাম্বরগিনি কোম্পানির প্রথম গাড়ি

১৯৬৩ সালে ল্যাম্বরগিনি তার প্রথম গাড়িটি বাজারে লঞ্চ করে। যেটির মডেল নাম্বার ছিল ল্যাম্বরগিনি ৩৫০ জিটি। প্রথম এই গাড়িটি মার্কেটে লঞ্চ করার পর ল্যাম্বরগিনি তেমনভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি।

এরপর ১৯৬৬ সালে ল্যাম্বরগিনি মিউরা মডেলের গাড়ি তৈরি করে পুরো পৃথিবী জুড়ে আলোড়ন তৈরি করেছিল। গাড়িটি ছিল মূলত একটি স্পোর্টস সিরিজের গাড়ি। যেটি মূলত এর প্রচুর গতির কারণে বাজারে আলোড়ন তৈরি করতে সক্ষম হয়। এরপর থেকে ল্যাম্বরগিনি কোম্পানিকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এবং পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে পুরো পৃথিবী জুড়ে তাদের অটোমোবাইল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। দ্রুত গাড়ির গতি এবং আকর্ষণীয় সব ডিজাইনের কারণে পুরো পৃথিবী জুড়ে ল্যাম্বরগিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করেছে।

ল্যাম্বরগিনি গাড়ির স্প্রিড

ল্যাম্বরগিনি এভারেজ একটি গাড়ির গতি 350 থেকে 360 কিলোমিটার পার আওয়ার হয়ে থাকে। তবে এর বাইরেও ল্যাম্বরগিনি কোম্পানির এমন কিছু গাড়ি রয়েছে যেগুলো জাপানের বুলেট ট্রেনের চেয়েও বেশি দ্রুত চলতে সক্ষম। ল্যাম্বরগিরি গাড়ির স্পিডের কারণে বিভিন্ন উন্নত দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এর একটি কারণ যখন কোন সন্ত্রাসীকে ধরতে হয় তখন বেশি গতির গাড়ির দরকার পড়ে। বর্তমান সময়ে ল্যাম্বরগিনি কোম্পানির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৮২ মিলিয়ন উইরো। যা বাংলা টাকায় কনভার্ট করলে দাঁড়ায় ৩৪০ কোটি টাকা। ল্যাম্বরগিনি কোম্পানি প্রতি বছর প্রায় ছয় হাজার গাড়ি তৈরি করতে পারে।

ল্যাম্বরগিনি গাড়ির লোগো

ল্যাম্বরগিনি কোম্পানির লোগোতে একটি বুল রয়েছে। এই বুলের মাধ্যমে বুঝানো হয় ল্যাম্বরগিনি কোম্পানির গাড়িগুলো অত্যন্ত মজবুত এবং শক্তিশালী হয়ে থাকে। বর্তমানে ল্যাম্বরগিনি কোম্পানির সবচেয়ে দামি গাড়িটির মূল্য ৮.৩ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকা।

আর এই গাড়িটির মডেল নাম্বার ল্যাম্বারগিনি রল স্টান। এছাড়া ল্যাম্বরগিনি কোম্পানি সবচেয়ে কম বাজেটের গাড়িটি হচ্ছে ল্যাম্বারগিনি হুরাকান ই ভি ও। যার দাম ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। এছাড়া ল্যাম্বরগিনি গাড়ি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তাদের D12 ইঞ্জিনের কারণে। ল্যাম্বরগিনি এভেন টোডা গাড়িগুলোতে যে ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে সেটি একটি এরোপ্লেনের ডিজাইন থেকে করা হয়েছে।

আপনারা সকলেই জানেন গত কয়েক দশক ধরে পুরো বিশ্বকে ল্যাম্বরগিনি উপহার দিয়ে যাচ্ছে মনমুগ্ধকর ও আকর্ষণীয় গাড়ি। ল্যাম্বরগিনি গাড়ির মধ্যে সর্বোচ্চ দুজন ব্যক্তি বসতে পারে। ল্যাম্বরগিনি কোম্পানির লাগজারিয়াস গাড়িগুলো হচ্ছে ল্যাম্বরগিনি উইসটা, ল্যাম্বরগিনি অ্যাভেন্টেডর এবং ল্যাম্বরগিনি ভেনেনো।

এছাড়া ভারতের প্রথম শ্রেণীর ব্যক্তিরা ল্যাম্বরগিনির গাড়িগুলো ব্যবহার করে থাকে। ল্যাম্বরগিনি কোম্পানি কখনো b4 এবং v6 অর্থাৎ ফোর সিলিন্ডার বা সিক্স সিলিন্ডার ব্যবহার করেনা। এর কারণ ল্যাম্বরগিনি এখন পর্যন্ত যে গাড়িগুলো তৈরি করেছে তাদের সবগুলোতেই ৮টি করে সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়েছে এবং ভি১২ সিলিন্ডার লাগানো হয়েছে ল্যাম্বরগিনি গাড়িতে।

রোলস রয়েস

পৃথিবীতে একটি মাত্র কার ব্রান্ড কোম্পানি রয়েছে সেটি হচ্ছে রোলস রয়েস কোম্পানি। রোলস রয়েস নাম শুনলেই চোখটি কপালে উঠে যায়। আর রোলস রয়েস কোম্পানির কালারের কথা শুনলে আপনি চমকে যাবেন।

ইতিহাস

১৯০৪ সালে চার্লস হেল্প এবং হেনরি ওয়েলের হাত ধরে এই কোম্পানি যাত্রা শুরু করে। এরপর তারা রোলস রয়েস টেন এইচপি মডেলের একটি গাড়ি তৈরি করে। এই গাড়িটি তৈরি করলেও বিশ্বব্যাপী তাদের জনপ্রিয়তা পেয়েছিল রোলস রয়েস সিলভার গোস্ট ৪০/৫০ মডেলের একটি গাড়ির মাধ্যমে।

আর এই গাড়িতে শুধুমাত্র চার জন মানুষ বসতে পারত। এরপর ধীরে ধীরে তারা বিশ্বব্যাপী আকর্ষণীয় ও লাগজারিয়াস গাড়িগুলো তৈরি করতে থাকে। এরপর ১৯৯৮ সালে রোলস রয়েস কোম্পানিকে bmw কোম্পানি কিনে নেয়। এরপর থেকে রোলস রয়েস আরও ব্যাপক হারে লাগজারিয়াস গাড়ি তৈরি করতে শুরু করে। বর্তমানে রোলস রয়েস কোম্পানির মালিক হচ্ছে bmw কোম্পানি।

রোলস রয়েস গাড়ির সিট

রোলস রয়েস গাড়িতে যেই সিটগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো কিছু স্পেশাল লেদার দ্বারা তৈরি করা হয়ে থাকে। আর এই লেদার গুলো বিভিন্ন ধরনের পশুর চামড়া থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। রোলস রয়েস এমন একটি ব্রান্ড যেটি পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা থাকলেও আপনি সহজে ব্যবহার করতে পারবেন না।

কারণ এই গাড়িটি ব্যবহার করার জন্য টাকার পাশাপাশি আপনার সোশ্যাল স্ট্যাটাসও ম্যাটার করে। যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন কোম্পানি দিনে শত শত গাড়ি তৈরি করে সেখানে রোলস রয়েস কোম্পানি একটি গাড়ি তৈরি করতে কয়েক মাস সময় লাগে। এর কারণ রোলস রয়েস কোম্পানির গাড়িগুলো কোন মেশিনারি যন্ত্র দ্বারা নির্মাণ করা হয় না।

এটি পুরোপুরি হাতে তৈরি একটি গাড়ি। আর এ কারণেই মূলত এটি একটি ব্যয়বহুল ব্রান্ডে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে এই কোম্পানির গাড়িগুলো হাতে গোনা কয়েকজন ব্যক্তি  ব্যবহার করে। বাংলাদেশের শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ ব্যক্তিরা শুধুমাত্র এই কোম্পানি গাড়ি ব্যবহার করে থাকে। একইভাবে ভারতের হাতেগোনা কয়েকজন ব্যক্তি রয়েছে যারা রোলস রয়েস গাড়ি ব্যবহার করে থাকে।

 রোলস রয়েস কম্পানির জনপ্রিয় মডেল

রোলস রয়েস কম্পানির সবথেকে জনপ্রিয় মডেল হচ্ছে রোলস রয়েস ফেন্টম। রোলস রয়েস ফেন্টমের সর্বোচ্চ ভার্শন হচ্ছে রোলস রয়েস এইড জেনারেশন। যেটি লঞ্চ করা হয়েছিল ২০১৭ সালে এবং এই ফেন্টম মডেলের সর্বোচ্চ স্পিড হচ্ছে ঘন্টায় ২৫০ কিলোমিটার।

আপনি শুনে অবাক হবেন যে এই গাড়িটি মাত্র পাঁচ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার স্পিড তুলতে পারে। ভারতের বাজারে এই গাড়িটির দাম প্রায় সাড়ে ১০ কোটি রুপি। আপনি যদি কখনো রোলস রয়েস কোম্পানিতে প্রবেশ করেন তাহলে আপনি মনে করবেন হয়তো কোন ওয়াল্ড ক্লাস ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করেছেন। কেননা এই ফ্যাক্টরিতে কোন মেশিনারি যন্ত্রাংশের শব্দ নেই।

যেহেতু হাত দিয়ে এই কোম্পানির গাড়িগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে তাই কোম্পানির ভিতর কোন মেশিনারিজ যন্ত্রাংশের শব্দ থাকে না। রোলস রয়েস কোম্পানির প্রতিটি গাড়ি ইউনিক ডিজাইনের হয়ে থাকে। এছাড়া এই কোম্পানির গাড়ি ক্রয় এর একটি সুবিধা হল কোম্পানিটি কাস্টমারের ডিমান্ড অনুযায়ী গাড়ি তৈরি করে দিতে সক্ষম।

রোলস রয়েস কম্পানির গাড়ির কালার

এই কোম্পানির কাছে প্রায় ৪৪ হাজারের কালার রয়েছে। যেই কালার থেকে একজন কাস্টমার চাইলেই ইচ্ছেমতো গাড়ির কালার তৈরি করে নিতে পারে। এছাড়াও ইউনিক কালার থাকলে সেই কালারের গাড়িও এই কোম্পানি তৈরি করে দিতে পারে।

আরেকটি সুবিধা হল এই কোম্পানির গাড়ির কালার একজন ব্যক্তি তার নিজের নামে ভেরিফাই করে নিতে পারবে। অর্থাৎ এই কালারটি পৃথিবীর আর কোন গাড়িতে ব্যবহার করা যাবে না। আপনারা হয়তো সকলেই জানেন রোলস রয়েস কোম্পানির পেইন্টিং এর কাজ শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি করতে পারে যার নাম মার্ক কুড।

রোলস রয়েস কম্পানির সবচেয়ে দামি গাড়ি

রোলস রয়েস কোম্পানি এখন পর্যন্ত সবথেকে দামি যে গাড়িটি তৈরি করেছে সেটির মডেল হচ্ছে রোলস রয়েল বোর্ড টেল ২০২২। এই গাড়িতে রয়েছে v১২ ইঞ্জিন। আন্তর্জাতিক বাজারে এই গাড়িটির দাম ২৮ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৩০৩ কোটি টাকা। গাড়িটি প্রথম বাজারে আসার পর পৃথিবীর সব থেকে দামি গাড়ি তকমা পেয়েছে।

রোলস রয়েল কোম্পানির গাড়ির গতি

রোলস রয়েল কোম্পানির গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। রোলস রয়েল কোম্পানির সবচেয়ে কম গাড়িটির দাম ৫ কোটি রুপি।

রোলস রয়েল কোম্পানির গাড়িগুলোতে ১৪০ কিলোগ্রামের সাউন প্রুপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যার ফলে কোন রোলস রয়েস কোম্পানির গাড়ি যদি আপনার পাশ দিয়ে যায় তাহলে আপনি এতোটুকু বুঝতে পারবেন না। রোলস রয়েস কোম্পানির গাড়ির টায়ারে যে আর লোগো থাকে সেটি কখনোই চাকার সঙ্গে ঘোরে না।

লোগোটি সব সময় কাস্টম অবস্থায় স্থির থাকে। এছাড়া এই কোম্পানির গাড়িগুলোর সামনে মানুষের মত যে মুক্তিটি দেখা যায় সেটি অনেক স্পেশাল হয়ে থাকে। আপনি যদি কখনো মনে করেন যে আমি এই মুক্তিটি চুরি করবো তাহলে সেটা কখনোই সম্ভব হবে না। কারণ এই মুক্তিটার ভিতরে এমন একটি ফিচার্স ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে এটিকে ধরা মাত্রই এটি ভেতরের দিকে ঢুকে যায়।

বন্ধুরা সর্বশেষে বলা যায় এই দুটি গাড়ির কম্পারিজম করে দেখা গেল শুধুমাত্র গতির কারণে রোলস রয়েলর থেকে উপরে রয়েছে ল্যাম্বারগিনি। মানে গতির দিক দিয়ে ল্যাম্বারগিনিকে কখনোই রোলস রয়েল হারাতে পারবে না। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়া ও গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইন তৈরি করে দিতে পারে রোলস রয়েল যেটি ল্যাম্বারগিনি দ্বারা কখনোই সম্ভব নয়।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।