রাজনীতি

নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলল যুক্তরাষ্ট্র, আসতে পারে নিষেধাজ্ঞা কি করবে হাসিনা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন! বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একই কোথায় সুর মিলাচ্ছে জাতিসংঘ, ব্রিটেনসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

এমতা অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা কি করবে? এই প্রশ্ন এখন সবার মনে। আরেকটি প্রশ্ন সবার মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে কি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অতি শীঘ্রই নিষেধাজ্ঞা দেবে? নাকি কিছুটা সময় নেবে? নিষেধাজ্ঞা দিলেই বা আওয়ামী লীগ সরকার কি করবে? এরকম নানান প্রশ্ন জনসাধারণের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। আজকে এই বিষয়গুলো নিয়েই আমরা একটি বিস্তর আর্টিকেল উপস্থাপন করবো। যেখানে বাংলাদেশের ভু রাজনীতি, বাংলাদেশ সরকারের করণীয়, বিরোধী দলের করনীয় সহ অন্যান্য বিষয় আলোচনা করা হবে।

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশে মোট ৬৮ টির মতো রাজনৈতিক দল রয়েছে। যেখানে সবচেয়ে বড় ও প্রধান রাজনৈতিক দুটি দল হল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি। আওয়ামী লীগকে বলা হয় ১৪ দলীয় জোট এবং বিএনপিকে বলা হয় ২০ দলীয় জোট। এর বাইরেও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল রয়েছে।

এগুলো হলো হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও অন্যান্য দল। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রতি পাঁচ বছর পর পর নিরপেক্ষ ও তত্ত্বাবধায় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তিন মাসের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণগুলো নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়। যেটি ২০০৮ সালে করা হয়েছিল। যেখানে আওয়ামী লীগ সরকার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। এরপর জাতীয় সংসদে সরকার গঠন করে।

কিন্তু এরপর থেকে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। গেল ৭ই জানুয়ারি ২০২৪ এর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলগুলো অংশগ্রহণ করেনি। ফলে এই নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্র অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বলে আখ্যায়িত করেনি। তারা ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের মন্তব্য

৭ই জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ বরাবরই বলে আসছিল বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা হবে। এজন্য বিরোধী দলগুলোকেও এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রধান সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

কিন্তু বিরোধীদল গুলো এতে সাড়া দেয়নি। তাদের একটাই দাবি ছিল তারা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আর এ দাবিটি আওয়ামীলীগ কখনোই মেনে নিতে রাজি ছিল না। ফলে প্রধান বিরোধী দলগুলোকে বাইরে রেখেই ৭ জানুয়ারি আওয়ামীলীগ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে।

আর এই নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই আওয়ামী লীগ দাবি করে তারা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়েছে। যা অন্যান্য দেশগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে। আর বাংলাদেশের এ নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই ভারত, রাশিয়া, চীন, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর ভিন্ন ভিন্ন বিবৃতি দিয়েছে। তাদের বিবৃতির মূল বক্তব্যটি ছিল বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এমনকি ৮ই জানুয়ারি বাংলাদেশে অবস্থিত ঐসব দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

২০০ পর্যবেক্ষক এর মন্তব্য

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স সহ ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো তাদের পর্যবেক্ষক পাঠাতে চেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে তারা তাদের পর্যবেক্ষক পাঠানো থেকে সরে দাঁড়ায়।

ফলে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ওই সমস্ত দেশ থেকে বেশ কয়েকজন পর্যবেক্ষক আসে এবং দেশের মধ্য থেকেও বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষক নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ করেন। আর এই পর্যবেক্ষকের সংখ্যাটি ছিল ২০০ জনের মত। এর মধ্যে ভারত, চীন, রাশিয়ার পর্যবেক্ষকরা দিনভর বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটাদের সঙ্গে কথা বলে এবং নির্বাচনকালীন বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করেন। যেখানে তারা বলেন বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।

এমনকি বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকের নাম উল্লেখ করে বলে, যুক্তরাষ্ট্র নাকি বাংলাদেশের এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক বলেছে। কিন্তু একদিন পরই যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয় বাংলাদেশের নির্বাচনটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। আসলে যে পর্যবেক্ষকগুলো বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন তারা আসলে যুক্তরাষ্ট্রের কোন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে বা সংস্থার সঙ্গে জড়িত নয় তারা ছিল সরকারের আমন্ত্রিত পর্যবেক্ষক।

যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের মন্তব্য

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে ইতোমধ্যেই অনেক দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে এবং অভিনন্দন জানিয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ৮ই জানুয়ারি স্পষ্টভাবে এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে যে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে সেটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ছিল না এবং তারা আরো জানিয়েছে বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বিরোধী দলের বহু নেতা কর্মীকে অবাধে গ্রেফতার করা হয় এবং ভিন্ন মতামতের উপর সরকার দমন, পিরন চালায় যা স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন।

একই সঙ্গে জাতিসংঘ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের এই নির্বাচনকে কখনোই অংশগ্রহণমূলক বলা যায় না। এমনকি তারা আরো বলেছে বাংলাদেশ সরকারকে যারা স্বীকৃতি দিয়েছে ঐ সমস্ত দেশ কখনোই গণতন্ত্রে বিশ্বাসই ছিল না। যেমন চীন ও রাশিয়া।

তবে কি বাংলাদেশ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এখনই সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে যুক্তরাষ্ট্র অনেক আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় তাহলে নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও কর্মকর্তা ছাড়াও দলীয় সরকারের লোকজনও মার্কিন ভিসা নীতি আওতাভুক্ত হবে। আর যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি তাই এসব ব্যক্তি ও কর্মকর্তার উপর যুক্তরাষ্ট্র হয় তো খুব শীঘ্রই ভিসা নীতি প্রয়োগ করবে।

পাশাপাশি আরেকটি আশঙ্কা রয়েছে আর সেটি হল বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উপর নিষেধাজ্ঞা। অর্থাৎ বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানি করার জন্য যে জিএসপি সুবিধা পেত তা বাতিল করা হতে পারে। ফলে পোশাক রপ্তানি করার জন্য বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে নির্দিষ্ট সংখ্যক কর প্রদান করতে হবে। যা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য এক মহা বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে। এর পাশাপাশি জাতিসংঘে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনীকেও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে। কেননা বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী যেখানে বহির্বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে সেখানে নিজের দেশেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারছে না।

এই অজুহাতে এই বাহিনীর উপর নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে যা আরেকটি বড় বিপর্যয়। এর বাইরে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা সহ নানান বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আসবে এমনটি আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। কেননা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেখানে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত করার হাতিয়ার হিসেবে বিভিন্ন দেশকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে সেখানে তারা নিজেরাই মানবাধিকার লংঘন করছে। এর উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন ফিলিস্তিন ও ইসরাইল যুদ্ধের কথা। আরো উল্লেখ করেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার কথা। আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বার্থের কারণে যেকোনো দেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে।

আবার চাইলে ঐ সমস্ত দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলেও নেয়। এটি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কূটনৈতিক তৎপরতা। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের মানুষ সুখে শান্তিতে রয়েছে। তারা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তা করে না। দেশে উন্নয়ন হচ্ছে উন্নয়ন হবে, আর এটি একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই সম্ভব।

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য

আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক বক্তব্যে বলেছেন, আই ডোন্ট কেয়ার। অর্থাৎ আমি কাউকে গুরুত্ব দেই না। তিনি বলেন কারা নিষেধাজ্ঞা দিল আর কারা দিল না এ নিয়ে সরকারের কোন মাথা ব্যাথা নেই। আওয়ামীলীগ সরকার জনগণের। জনগণ চাইলে আওয়ামী লীগ থাকবে, জনগণ না চাইলে আওয়ামী লীগ থাকবে না। এখানে বাইরের কথায় কান দিয়ে কোন লাভ নেই। আওয়ামীলীগ জনগণের সরকার, তারা জনগণের কথা শুনে। পাশাপাশি সরকার প্রধান আরো বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ই সম্ভব।

তিনি বলেন যারা মানবাধিকার মানবাধিকার করে তারা নিজেদের দিকে তাকাক। তাদের নিজেরই দেশে দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রতিদিন নিরীহ মানুষগুলো খুন হচ্ছে। এখানে তারা কি করছে। এটি কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়।

বাংলাদেশের ভু রাজনৈতিক গুরুত্ব

বাংলাদেশ দিন দিন যে ভু রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে তা স্পষ্টই বুঝা যায়। কেননা বাংলাদেশ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা পর্যটন সহ অন্যান্য খাদে খাতে এক সম্ভাবনীয় ভবিষ্যৎ রয়েছে। যা বহির্বিশ্বের দেশগুলো ইতি মধ্যেই উপলব্ধি করতে পেরেছে।

আর বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের গুরুত্ব অপরিসীম। যদি কোন দেশ বাংলাদেশকে তাদের নিজেদের পরম বন্ধুত্বের পরিণত করতে পারে তাহলে ভূমধ্যসাগরে তাদের সামরিক শক্তি দেখাতে পারবে। আর এই সুযোগগুলো নেওয়ার জন্য বহির্বিশ্বের বাঘা বাঘা রাষ্ট্রগুলো প্রস্তুত হয়ে আছে। শেখ হাসিনা তো ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মার্কিন ঘাঁটি করতে চায়। আর এর বিনিময়ে তারা আবারও আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় রাখবে।

বিরোধী দলগুলোর করণীয়

যেহেতু বিরোধী দলগুলোর অনেক নেতাকর্মীকে সরকার বিভিন্ন মামলায় জেলে বন্দী করে রেখেছে। তাই বর্তমানে এই দলগুলোর কার্যক্রম কিছুটা স্থগিত রয়েছে। তবে বিএনপি’র মধ্যপন্থী কিছু নেতাকর্মী ঢাকা শহরে বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও গণসংযোগ করে আসছে। যেহেতু ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেছে তাই এই দলগুলো চাইবে পুনরায় সুসংগঠিত হতে এবং তাদের এই কার্যক্রমে যদি তারা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারে তাহলে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে তারা সক্ষম হবে। আর বহির্বিশ্বের সামান্য সহযোগিতা পেলে হয়তো দেখা যাবে আগামী দু এক মাসের মধ্যেই আরেকটি নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে বাধ্য হবে নির্বাচন কমিশন।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।