রাজনীতি

বাংলাদেশের ৯ টি মেগা প্রজেক্ট দেখে ঈর্ষান্বিত অন্য দেশ

বাংলাদেশের মেগা প্রজেক্টগুলো কি কি! বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আজকে আমরা চলে আসলাম বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মেগা প্রজেক্ট নিয়ে।যেগুলো ২০২৩ এর শেষের দিকে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

বাংলাদেশের মেগা প্রজেক্টগুলো কি কি

সে সকল মেগা প্রজেক্ট নিয়ে আজকে শুরু করতে যাচ্ছি আমাদের এই পোস্টটি। যারা দেশ এবং দেশের বাইরে থেকে আমাদের এই পোস্টটি  পড়ছেন তাদেরকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।  বন্ধুরা এই সরকারের আমলে বহু বড় বড় মেগা প্রজেক্ট বাংলাদেশ হাতে নিয়েছিল এবং সেগুলোর কাজ পরিসমাপ্তির দিকে। এরকমই কিছু বড় বড় মেগা প্রজেক্ট যেমন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রো রেল, বিমানবন্দরের টার্মিনাল সহ আরো বেশ কয়েকটি বড় মেগা প্রজেক্ট উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। আর সেই সকল মেগা প্রোজেক্টের ব্যয়, উদ্বোধনের তারিখ সহ সকল তথ্য জানব আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে তাহলে চলুন শুরু করি।

১/ রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতি

আগামী সেপ্টেম্বর মাসে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী লিয়াকত ওসমান। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।  ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের জ্বালানি চলে এসেছে।

দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য ৫০ টন জ্বালানির প্রথম চালান পাঠিয়েছে রাশিয়া। ২০২১ সালের ১০ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা আরপিভি উদ্বোধন করেন। আরপিভি ইনস্টলেশন বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম পারমাণবিক চুল্লির ৩৩ তম দেশে পরিণত করেছে। প্রকল্প অনুযায়ী ২০২৩ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট ও অনুরূপ বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।

প্রকল্প কাজ বাস্তবায়নে জনশক্তি প্রশিক্ষণ সহ মোট ব্যয় ১২.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ৯৯% অর্থ প্রদান করেছে রাশিয়া। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করার পর থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ন্যূনতম ৬০ বছরের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে বলে আশা করা হচ্ছে । প্রচলিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থনৈতিক জীবন সাধারণত ২৫ বছর হয়ে থাকে।

২/ মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্ল্যান

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের মাঝামাঝি বঙ্গোপসাগরে কল ঘেসে মহেশখালীর মাতার বাড়িতে চলছে বিশাল কর্মযোগ্য। চলমান কর্মযজ্ঞের অনেকটা জুড়েই এখন মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। পরীক্ষামূলকভাবে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। ২৪ জুন সকাল ৮ টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লিতে আগুন দেওয়া হয় যা দুপুর ১২ পর্যন্ত জলে। আগামী দুই মাস এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হবে।

পরে শুরু হবে সীমিত আকারে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন। আগামী অক্টোবরে পরিপূর্ণ উৎপাদনে যাবে মাতার বাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। জাপানের সনি কর্পোরেশন, তোশিবা কর্পোরেশন ও আই এস আই কর্পোরেশনের কনসোর্টিয়াম এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার মধ্যে ২০১৪ সালে ১৬ই জুন ঋণ চুক্তি করা হয় যার  ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি তিন লাখ টাকা সহায়তা দিচ্ছে জাইকা। অবশিষ্ট ৭ হাজার ৯শ ৩৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার ও সিপিজিসিএল এর নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে।

৩/ পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় পূর্বাচলের এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ৯৫ শতাংশের  বেশি কাজ পরিসমাপ্ত হয়ে গেছে।  আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের শুরুতে উদ্বোধন করা হবে এই প্রকল্পটি। ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৪ লেনের এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকা সিলেট মহাসড়ক কে রাজধানী প্রগতি সরণী ও বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে যুক্ত করবে। সাড়ে বারো কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীর  কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে ১৪ লেন বিশিষ্ট।  এর মধ্যে আট লেন সড়ক এক্সপ্রেসওয়ে বাকি ৬ লেন সড়ক স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য সার্ভিস রোড হিসেবে কাজ করবে।

এছাড়াও এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল এর জন্য ১০টি বড় সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। বালু নদী থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়ক হচ্ছে ১২ লেনের। এরমধ্যে ছয় লেন সড়ক এক্সপ্রেসওয়ে আর বাকি ৬ লেন সার্ভিস লেন হিসেবে কাজ করবে। বর্তমানে এখানে ফুটওভার ব্রিজ ও জাতীয় ছাউনির কাজগুলো শেষ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে সড়ক বাতি। মিডিয়ামে লাগানো হয়েছে গাছ এবং শেষ করা হয়েছে সকল আর্স বিরিজ নির্মাণের কাজ। প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৯৫ শতাংশের বেশি।

 ৪/ কর্ণফুলী টানেল

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল আগামী সেপ্টেম্বরে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী। তিনি জানান এই প্রকল্পটির আগামী সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।মাল্টিলেন টানেলটি সরাসরি চট্টগ্রামকে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করার মাধ্যমে সরাসরি কক্সবাজারকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশে নির্মিত এই টানেলটি চালুর জন্য প্রয়োজনীয় এবং আনুষাঙ্গিক কাজগুলো এখন শেষ করা হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে এই টানেনটি নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার। চার লেন বিশিষ্ট দুটি টিউবের প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য ২.৪৫ কিলোমিটার। মুল টানেলের পশ্চিম ও পূর্বপ্রান্তে ৫.৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং আনোয়ারা প্রান্তে একটি ৭২৭ মিটার ফ্লাইওভার থাকছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে এবং কাজের অগ্রগতি ৯৭ শতাংশের বেশি।

৫/ পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল

পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে গত চৌঠা এপ্রিল ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। পদ্মা সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ। এখন ঢাকার অংশ পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত করতে ৪ কিলোমিটার লেনের নির্মাণ কাজ চলছে। এই অংশের কাজ শেষ হলে আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচল করবে।

আর পরের বছরে জুনে চলবে যশোর পর্যন্ত। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে রেল নির্মাণ নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হচ্ছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ২১ টি জেলা। সেই পরিকল্পনায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নির্মাণ হচ্ছে ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকার কমলাপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮১ কিলোমিটার নাইন স্থাপনের কাজ শেষ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মার রেল সেতু প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয় ২০১৮ সালে। উদ্বোধনের পর রেলওয়ে ব্যবস্থাপনায় চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ লিমিটেড এই রেললাইন নির্মাণ কাজ শুরু করে।

পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে ৬.৬৮ কিলোমিটার ভায়া ডাকসহ ১৩ কিলোমিটার পাথরবিহীন রেলপথ এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। আর পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি। প্রকল্পটিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ঢাকা থেকে মাওয়া ৪০ কিলোমিটার অংশের অগ্রগতি আশি শতাংশ।  মাওয়া থেকে ভাঙ্গা ৪২ কিলোমিটার অংশের অগ্রগতি ৮৫শি শতাংশ। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার অংশের অগ্রগতি ৮৭ শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮১ কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ অনেকটাই শেষ। এ পথে পরীক্ষামূলক রেল চলাচল শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকে এ পথে বাণিজ্যিকভাবে পরিবহন শুরু করা হবে। পাশাপাশি যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটারের রেল চলাচল আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে জুনে শুরু হবে।

৬/ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে চালু হচ্ছে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। নির্মাণাধীন এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট অংশ আগামী সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করা হবে। শনিবার ৮ই জুলাই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন কাওরা এলাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী।

প্রকল্পে তথ্য অনুযায়ী সরকারি বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগে তিন ধাপে উড়াল সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওরা থেকে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপ বনানী রেজিস্ট্রেশন থেকে মগবাজার পর্যন্ত এবং তৃতীয় ধাপ মগবাজার রেল ক্রসিং থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। এই উড়াল সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার আগামী সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দরের কাওরা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার অংশটি চালু করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৮,৯৪০ কোটি টাকা।

৭/  বিআরটি প্রকল্প

যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে রাজধানীর গাজীপুর পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এটি উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। তবে আবারো এক দফার সময় বাড়ানো হয়েছে। এক মাস বাড়িয়ে অক্টোবরে চালু হওয়ার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই পথে ২৫ টি স্টেশনের মধ্যে প্রথম দফায় ১১ টি চালু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১১ টি স্টেশনে ৫০ টি বাস দিয়ে চালু হবে এই প্রকল্প। আর এই বাস আসবে চাইনিজ কোম্পানি হাইগার থেকে। এই প্রকল্পের সকল কাজ ২০২৫ সালের মধ্যে সমাপ্ত করা হবে বলে জানিয়েছে প্রকল্প পরিচালক।

৮/ রংপুর ঢাকা ৬ লেনের মহাসড়ক

নানা জটিলতা কাটিয়ে গতি ফিরেছে এই প্রকল্পের। এলেঙ্গা থেকে রংপুর ছয় লেনের কাজ এরই মধ্যে ৮০ শতাংশ শেষ হয়ে গেছে। বেশ কিছু ফ্লাইওভার আন্ডার পাস ওভার পাস খুলে দেওয়া হয়েছে। হাতি  কুন্ডলে চলছে ইন্টার সেকশন নির্মাণের কাজ। একই সাথে বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভার খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

৯/ বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল

আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এর তৃতীয় টার্মিনাল আংশিক চালু করা হবে। ইতিমধ্যে টার্মিনালের ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে । বর্তমানে টার্মিনালের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা ও বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম স্থাপনের কাজ চলছে। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অক্টোবরে প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে টার্মিনালটি আংশিক চালু হবে।

এজন্য জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর তত্ত্বাবধানে এই প্রকল্পটি দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হবে ২০২৪ সালের জুন মাসে। এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এই প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়। তিন তোলা বিশিষ্ট এই টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য থাকছে স্বয়ংক্রিয় চেকিং সিস্টেম, পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টার ও মাল্টি লেভেল কার পার্কিং সহ একাধিক আধুনিক সুযোগ সুবিধা। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা।

দেশে যে মেগা প্রকল্প গুলো চলছে সেই মেগা প্রকল্প গুলো অনুমোদনের সাথে সাথে বাস্তবায়িত হচ্ছে এটাই বড় কথা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রকল্প অনুমোদন পাচ্ছে কিন্তু বাস্তবায়িত হচ্ছে না যার জন্য প্রকল্প ব্যয় যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে জনদুর্ভোগ। বর্তমানে যে মেঘা প্রকল্প গুলো উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এর ফলে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন যেমন হবে তেমনভাবে দেশের প্রবৃদ্ধি এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বা জিডিপিতে অনেক বড় একটি অবদান রাখতে যাচ্ছে এই প্রকল্পগুলো।

বন্ধুরা আশা করি পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের পরবর্তী পোস্টটি ফলো করুন এবং এরকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।