হাত পা ফর্সা হওয়ার লোশন! বন্ধুরা আমরা অনেকেই রয়েছি যারা খুব অল্প সময়ে আমাদের হাত-পা কে ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম অথবা লোশন ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এই লোশন গুলো ততটা কার্যকারী নয় যতটা আমরা চেয়ে থাকি। আজকে আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে বিশ্বসেরা পাঁচটি লোশন সম্পর্কে জানাবো।
যে লোশন গুলো ব্যবহার করলে আপনার হাত-পা কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই উজ্জ্বল বর্ণ ধারণ করবে এবং আপনাকে আরো স্মার্ট ও আকর্ষণীয় দেখাবে। যারা হাত পা ফর্সা করার লোশন সম্পর্কে জানতে চান তারা এই পোস্টটি বিস্তারিত এবং মনোযোগ সহকারে পরুন।
হাত পা ফর্সা করার লোশনের নাম
বর্তমান সময়ে আমরা সকলেই চাই আমাদের ত্বককে যেন আরো উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় দেখায়। এজন্য প্রতিনিয়ত ত্বকের যত্নে বিভিন্ন ধরনের লোশন, ক্রিম ও অন্যান্য কসমেটিক জাতীয় উপাদান গুলো আমরা ব্যবহার করে আসছি। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা নকলের সম্মুখীন হয়ে থাকি। ফলে আমাদের কাঙ্খিত ফলাফল আমরা খুব কম পাই।
এর জন্য আজকে আমরা বিশ্বসেরা পাঁচটি লোশন সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। যেই লোশন গুলো ব্যবহার করলে খুব অল্প দিনে আপনি সহজেই আপনার হাত-পা এমনকি আপনার পুরো শরীরের স্কিনকে ফর্সা করতে পারবেন। আর এই লোশন গুলো পরীক্ষিত ও বিশ্বমানের। তাই নিঃসন্দেহে আপনি এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই সেরা পাঁচটি লোশন সম্পর্কে।
১/ Oliva Whitening Body Lotion
আপনি যদি নির্ভরযোগ্যভাবে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই হাত-পা ফর্সা করার নতুন লোশন খুঁজে থাকেন তাহলে এই লোশনটি নিঃসন্দেহে আপনার জন্য।
কেননা লোশনটিতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এছাড়া লোশনটি আপনি দিনে অথবা রাতেও ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি এই লোশনটি ছেলে মেয়ে উভয় ব্যবহার করতে পারে। লোশনটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার হাত-পা ফর্সা করার কাছাকাছি নিয়ে যাবে এবং এক থেকে দেড় সপ্তাহ ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্খিত ফলাফল পেয়ে যাবেন।
তাই আমরা সাজেস্ট করব আপনি চাইলেই এই লোশনটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এই লোশনটি যেহেতু বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হয় তাই ১০০ এম এল এর জন্য এর দাম ৫৩০ টাকা হয়ে থাকে।(হাত পা ফর্সা হওয়ার লোশন)
২/ Crystal white milky body Lotion
এই লোশনটি করিয়ান লোশন। একটি পরীক্ষা করে দেখা গেছে লোশনটিতে ত্বকের ময়শ্চারাইজার বৃদ্ধি করার জন্য সকল ধরনের উপাদান যুক্ত করা আছে। এছাড়া যাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের স্পট ও অন্যান্য কালো দাগ মাঝেমধ্যেই দেখা যায় তাদের স্কিনের জন্য এই লোশনটি অত্যন্ত কার্যকারী।
লোশনটি আপনি যখন গোসল করবেন এরপরে ব্যবহার করতে পারেন অথবা আপনি রাত্রেও ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু এটিও একটি বাইরের প্রোডাক্ট তাই এটি আপনি সর্বনিম্ন ৯০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১২০০ টাকার মধ্যে ক্রয় করতে পারেন।
৩/ Diamond Special care Body options
বিশ্বমানের বডি লোশনের মধ্যে এই লোশনটি অত্যন্ত কার্যকারী। যারা দুধের মত ফর্সা হাত-পা অথবা স্কিনকে করতে চান তারা এই লোশনটি টানা একমাস ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।
এছাড়া এই লোশনটি একটানা দশ দিন ব্যবহার করলে হাত এবং পা ফর্সা হতে শুরু করে। এর বাইরেও যাদের শরীরে কালো দাগ, বিভিন্ন ধরনের স্পট, এছাড়া যাদের তৈলাক্ত ত্বক রয়েছে তাদের ত্বককে আকর্ষণীও এবং উজ্জ্বল করে তুলতে এই লোশনটি অত্যন্ত কার্যকারী।
এছাড়া আমরা প্রায়ই দেখি শীতের সময় আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি হয়ে থাকে। ফলে স্কিনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের স্পট দেখা দেয়। এই লোশনটি ব্যবহার করলে আমাদের স্কিনের পানি শূন্যতা দূর করে শরীরকে মশ্চারাইজার করে তোলে। এই লোশনটি একটি জাপানি প্রোডাক্ট। আপনি চাইলেই বাজার থেকে ৩০০ মিলির বোতলে এই লোশনটি পেয়ে যাবেন। এই জন্য আপনাকে গুনতে হবে ৮২০ টাকা।
৪/ Khazana Lotion
দ্রুত হাত-পা ফর্সা করার জন্য এই লোশনটি আপনি ৭ থেকে ১৫ দিন ব্যবহার করতে পারেন এর মাধ্যেই আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আপনি পেয়ে যাবেন। লোশনটি ছেলে মেয়ে উভয় ব্যবহার করা যায় এবং আপনি যদি কোন খানে দিনে বেড়াতে যান তাহলে ধুলাবালির হাত থেকে আপনার স্কিনকে রক্ষা করার জন্য লোশনটি ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়াও যাদের ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক তারা নিয়মিত এই লোশনটি ব্যবহার করলে ত্বককে আরো উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় দেখায়। লোশনটি বিশেষ করে বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয়। আপনি আপনার নিকটস্থ শহরগুলোতে বিভিন্ন দোকানে এই লোশনটি পেয়ে যাবেন। লোশনটির দাম ধরা হয় ১৩৫০ টাকা। আপনি বিভিন্ন ধরনের অনলাইন শব গুলো থেকে এই লোশনটি ক্রয় করলে কিছু সংখ্যক মূল্য ছাড় পেতে পারেন।
৫/ Due Special Care Body lotion
যাদের হাত-পা অনেক বেশি কালো তারা এই লোশনটি ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এই লোশনটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনার ত্বককে খুব সহজেই উজ্জ্বল বর্ণে নিয়ে আসতে পারে।
কেননা অতীতে যারা এই লোশনটি ব্যবহার করেছে তাদের কাছ থেকে অনেক ভালো রিভিউ পাওয়া গেছে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই একটা না ৩০ দিন এই লোশন টি ব্যবহার করতে হবে। লোশনটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে লোশনটি ত্বকের কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজার বৃদ্ধি করে এবং স্কিনের মধ্যে পানি শূন্যতা দূর করে।
বিশেষ করে শীতের সময় এই লোশনটি অত্যন্ত কার্যকারী। লোশনটি বিভিন্ন দোকানে গিয়ে কিনতে চাইলে খরচ করতে হবে ৮৫০ টাকা। এছাড়া অনলাইনের বিভিন্ন দোকান থেকে ক্রয় করলে কিছু সম্পূর্ণ মূল্য ছাড় পাওয়া যেতে পারে।
পরিশেষে
বন্ধুরা আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। আপনি যদি খুব অল্প সময়ে আপনার ত্বককে উজ্জ্বল বর্ণে নিয়ে আসতে চান তাহলে আমাদের দেখানো পাঁচটি বডি লোশনের মধ্যে যেকোনো একটি ব্যবহার করতে পারেন এবং আমরা আপনাকে ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি যে এই লোশন গুলোর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং আপনি টানা একমাস ব্যবহার করলেই এর ফলাফল পেয়ে যাবেন। আপনারা যদি লাইফস্টাইলের এরকম নিত্য নতুন পোস্ট পেতে চান তাহলে আমাদের সাইটের সঙ্গেই থাকুন এবং আমাদের লাইফস্টাইলের বিভিন্ন পোস্ট গুলো দেখতে পারেন ধন্যবাদ।