লাইফস্টাইল

ধূমপান ছাড়ার সেরা ৫টি উপায় ১০০% গ্যারান্টি

ধূমপান ছাড়ার উপায় কি! ভাই আপনি একটি গাছটি কেটে ফেলুন। আপনি সবার আগে আমাকে কি জিজ্ঞাসা করবেন। কেন ভাই  গাছ কেটে ফেলবো।

ধূমপান ছাড়ার উপায় কি

এটাই হল ব্যাপারটা। সিগারেট আপনার জন্য একটা গাছের মত যেটা আপনার জন্য একটা আরামদায়ক অনুভূতির উৎস হিসেবে কাজ করে। তো যদি আপনি এটাকে কেটে ফেলতে চান তাহলে সবার আগে দরকার একটা শক্তিশালী কারণ। কেন কাটবো এই কেন থেকেই শুরু করতে হবে আর এই কেনটা সম্পূর্ণভাবে আপনার উপর নির্ভর করছে। আপনার জন্য কোন জিনিস জীবনের সবথেকে বেশি মূল্যবান টাকা, পরিবার নাকি স্বাস্থ্য। সবার কাছে এই জিনিসগুলোর মূল্য আলাদা আলাদা হতে পারে। সিগারেট ছাড়ার জন্য যে কারণটা আমার কাছে সব থেকে বেশি বড় সেই একই কারণ আপনার জন্য আপনার কাছে কোন মূল্যই রাখে না।

এই জন্য এই কেনটাকে আপনাকেই নিজে খুজে বের করতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই কেনটা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠছে আমি সাজেস্ট করব সিগারেট ছাড়ার চেষ্টা না করাটাই ভালো। কারণ এরকম চেষ্টা বৃথা যাবে। যার কারণে আপনার নিজের উপরই কনফিডেন্স লো হয়ে যাবে।  তাই সিগারেট ছাড়ার জন্য কিছু স্মার্ট আইডিয়া রয়েছে যে আইডিয়াগুলো আপনি আপনার জীবনে নিয়ে আসতে পারলে খুব সহজেই সিগারেট ছাড়তে পারবেন তাহলে চলুন জেনে নেই আইডিয়াগুলো সম্পর্কে।

১/ Start with why

এবার আমি যেটা বলতেছি সেটা মন দিয়ে শুনুন। ভুলেও মনে মনে আপনি একটা গোলাপী আপেলের কথা ভাববেন না। খবরদার আপনি একটা গোলাপী আপেলের কথা ভেবেছেন তো! দয়া করে কোন গোলাপি আপেলের কথা ভাববেন না। কি হচ্ছিল আমি বলছিলাম দয়া করে গোলাপি আপেলের কথা ভাববেন না।

কিন্তু আপনার মনে আরও বেশি করে গোলাপি আপেলের ছবি ভেসে উঠছিল। এটাই তো হয়। আপনি যত ভাববেন আমি সিগারেট খাব না ততই আপনার আরো বেশি করে ইচ্ছা হবে সিগারেট খাওয়ার। কারণ আমাদের থট প্লোছিস কোন নেগেটিভ বিষয় প্রসেস করার ক্ষমতা রাখেনা। আপনি যখনই বলেন আমি সিগারেট খাব না সিগারেট আর খাওয়া এই দুটি ছবি আপনার মেমোরিতে রয়েছে। কিন্তু না এর কোন ছবি আপনার মেমোরিতে নেই।

তো আপনি যখনই বলেন আমি সিগারেট খাব না। মনের মধ্যে একটা ছবি ফুটে ওঠে সিগারেট খাওয়া যেটা সিগারেটের সঙ্গে যে ইমোশন গুলো জড়িয়ে রয়েছে সেগুলোকে জাগ্রত করে দেয়। আর আপনি হ্যাপি ক্লুকে ফেসে যান। তো এর সমাধান কি সমাধানটি খুবই সিম্পল।

আপনাকে সিগারেটের জায়গায় সিগারেটকে অন্য কিছু বলতে হবে। একটা নতুন নাম দিয়ে সিগারেটের নাম রিপ্লেসমেন্ট করতে হবে আপনি চাইলে নিজের মেয়ের নাম দিয়ে এটাকে রিপ্লেস করতে পারেন। এর ফলে আপনি যখনই বলবেন আমি আমার মেয়েকে খাবো এটা আপনার মধ্যে একটা নেগেটিভ চিন্তাভাবনা জেনারেট করে দিবে। যেটা আপনাকে এই প্রাণঘাতি নেশা থেকে বেরিয়ে আসতে অনেকটা সাহায্য করতে পারে।

২/ Use A Different Name

কিছু ছেলে মেয়ে থাকে যারা নিজেদের ফেভারিট হিরো অথবা হিরোইনকে দেখে স্টাইল মারার চক্করে সিগারেট খাওয়া শুরু করে। তারপর বাজেভাবে ফেঁসে যায়। তারা মনে করে সিগারেট খেলে আমাকে আরো বেশি এস্টাইলিস্ট লাগবে। আমি যেটা আমার নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যেও দেখেছি।

কিছু ছেলে এরকম আছে তারা মনে করে, সিগারেট খেলে মেয়েরা হয়তো তাকে আরও বেশি স্মার্ট মনে করবে। এটার মানে কি মেয়েদেরকে আপনার এতটাই বোকা মনে হয়। ওরা কি বুঝেনা যে, যে ছেলেটা শুধুমাত্র নিজের মজার জন্য সবকিছু জানা সত্বেও ক্রমাগত নিজেরই শরীরের ক্ষতি করে চলেছে। সেই ছেলেটা তার নিজের মজার জন্য অন্য কারোর ক্ষতি করবেনা তার কি গ্যারান্টি আছে।

সে নিজের উপর থেকে সম্পূর্ণ নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছে। এখন শুধু অনুভূতির পিছনে ছুটে বেড়াচ্ছে। আজকে ভালো অনুভূতি পাচ্ছে আমার সাথে আছে। কালকে অনুমতি খারাপ হতে শুরু করলে বা অন্য কোন জায়গা থেকে বেশি ভালো অনুভূতি আসতে শুরু করলে তখন আমায় ছেড়ে ঐ দিকে দৌড়াতে শুরু করবে। এরকম ছেলের সাথে কোন মেয়ে কেন সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইবে। আর সিগারেট খাওয়াতে ঠটেও ডাকস্পট পরতে শুরু করে। মেয়েটা যদি কিছও করে মেয়েটার মনে হবে সে কোন সিগারেটের অ্যাস্ট্রোনয়েটের সাথে কিস করছে।

৩/ Don’t Be a Stupid

একটা পরীক্ষায় কিছু  স্মোকারদের নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছিল। যেখানে তাদের বলা হয় যে, তাদের সিগারেট খেতে হবে। তবে খুব মনোযোগ সহকারে। মনোযোগ এই দিকে নয় যে, তারা কি রকম অনুভব করছে বরং মনোযোগটা এইদিকে দিতে হবে যে, তারা যে সিকারেটা খাচ্ছে তার স্বাদটা কেমন লাগছে। মানে তাদের খুব মনোযোগ দিয়ে সিগারেটের স্বাদটাকে নিতে  হবে অনুভূতিটাকে নয়। তো তাদের মধ্যে ৯০% রিপোর্ট ছিল মনে হয় যেন গু খাচ্ছি।

৪/ Mindful smoking

এবার ধরুন আপনি ১০ টি  বুক ডাউন দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। আমি এসে আপনাকে বললাম আপনাকে আজ এখনই ১০০ টি বুক ডাউন দিতে হবে। আপনি কি দিতে পারবেন? যদি দিয়েও দেন পরের দিন সকালে বিছানা থেকে আর উঠতে পারবেন না। তো স্বাভাবিক ব্যাপার পরের দিন থেকে আপনি  বুক ডাউন দেওয়াই বাদ দিয়ে দিবে। যেমন আমাদের শরীরের একটা পর্যাপ্ত ক্ষমতা রয়েছে। তেমন  আমাদের মস্তিষ্কেরও একটা পর্যাপ্ত ক্ষমতা রয়েছে। তো আজ যদি আপনি দিনে দশটা করে সিগারেট খান কালকেই একেবারে ১০ থেকে জিরোতে আসাটা সত্যিই খুব কষ্টকর। যেটার জন্য প্রচুর ইচ্ছা শক্তি দরকার। যেটা আমাদের বেশিরভাগ লোকের কাছেই থাকে না।

তো সবচেয়ে ভালো আস্তে আস্তে ছেরে দেওয়া। আজ যদি আপনি রোজ ১০টা করে সিগারেট খান কাল থেকে আপনাকে ফিফটি পার্সেন্ট কমাতে হবে মানে পরবর্তী এক সপ্তাহের জন্য প্রতিদিন আপনি দশটার বদলে পাঁচটা করে সিগারেট খাবেন। এর পরের সপ্তাহে পাঁচটার ফিফটি পার্সেন্ট অর্ধেক ধরুন তিনটা এরপরের সপ্তাহে দুটো এবং তারপরে সপ্তাহে একটি এবং সর্বশেষ জিরো। মানে আপনি ৬ সপ্তাহে এই নেশার কবল থেকে বের হয়ে আসবেন। তাও খুবই কম ইচ্ছা শক্তি ব্যবহার কর।

৫/ Reduce by 50 percent a week

বেশিরভাগ মানুষই দুটো কারণেই সিগারেট পান করে। হয় আরামদায়ক একটা বুস্ট পাওয়ার জন্য অথবা কোন খারাপ অনুভূতির  হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য। তো আমি আপনাকে এটা জিজ্ঞাসা করতে চাই এই দুটো কাজ কি শুধুমাত্র সিগারেট খেয়েই করা যেতে পারে। আর কি কোন অন্য রাস্তা নেই।

হ্যাঁ প্রচুর রাস্তা আছে যেটা করতে আপনাকে ভালো লাগে সেই কাজটা করুন। বেসিক্যালি আপনি এই সিগারেট খাওয়ার অভ্যাসটাকে কোন একটি ভালো কাজের মাধ্যমে ছাড়তে পারেন। যারা এই আইডিয়াটাকে অ্যাপ্লাই করেছে তারাই সিগারেটের নেশা থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ জগিং, বডিবিল্ডিং, মেডিটেশন এন্ড গেমিং এই জিনিসগুলোর সঙ্গে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাসটাকে ছাড়তে সাহায্য করছে।

এবার এটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাপার আপনার কোন কাজটা পছন্দের। কোন কাজটা করলে আপনার মস্তিষ্কে আপনি ভাল অনুভূতি অনুভব করেন। শুধুমাত্র সেই কাজটাই আপনাকে এই ক্ষতিকর কাজটা থেকে মুক্তি দিতে পারে। কিন্তু আপনি বলতে পারেন ভাই গেম খেলাও তো একটা বাজে অভ্যাস।

 যখন আপনার কোন অসুখ হয় তো কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তারদের একটা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যদি আমি এই ওষুধটা দেই তার জন্য এই এই সাইড ইফেক্ট গুলো আসতে পারে। কিন্তু এখন যে রোগটা হয়েছে সেটা এই ওষুধগুলো খেলে যে যে সাইট ইফেক্ট গুলা আসতে পারে তার থেকে অনেক বেশি ক্ষতিকর।

ডাক্তাররা সেই ওষুধগুলো রিকমেন্ড করে দেন এরকম সিকারেট খেলে আপনি ক্রমাগত ক্যান্সারের দিকে জাবেন। যেখানে গেম খেললে আপনি মরে যাবেন না বা আপনার ক্যান্সারও হবে না। খুব বেশি পরিমাণে খেললে হয়তো আপনার চোখের সমস্যা হবে। আর শরীরের কিছু অংশে ব্যথা যন্ত্রণা দেখা দিতে পারে যেটা কিনা ক্যান্সার থেকে অনেক কম।

ধূমপান ত্যাগ করার এক ঐতিহাসিক উক্তি রয়েছে উক্তিটি হল

রাখবো উঁচু নিজের মান,করবনাকো ধূমপান,

 মনে রাখি কোথাখান,ধূমপানে বিষ পান,

ধূমপানকে না বলি নীতি ধর্ম মেনে চলি।

বন্ধুরা আশা করি সিগারেট খাওয়া নিয়ে আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের অনেক ভালো লেগেছে। যে সকল ভাই এবং বন্ধুরা খুব দ্রুত সিগারেট খাওয়া বাদ দিতে চান তাদের জন্য আমি বলব একবার হলেও উপরের বিষয়গুলো ফলো করে দেখুন। আমি ১০০% গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি অবশ্যই আপনি এই খারাপ অভ্যাস থেকে দূরে সরে আসবেন এবং নিজের জীবনকে আরো সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে পারবেন। যদি পোস্টটি ভাল লাগে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন এবং এরকম আরো নিত্য নতুন পোস্ট পেতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন ধন্যবাদ।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।