টেসলা পাইফোনের দাম! টেসলা নিজের ইকোসিস্টেম প্রযুক্তির দ্বারা এবার বাজারে নিয়ে এলো পাইফোন। যদি আপনি মঙ্গল গ্রহে থাকেন আর সেখানে যদি আপনার কাছে একটি পাইফোন থাকে তাহলে আপনি পৃথিবীর সঙ্গে অনায়াসে যোগাযোগ রাখতে পারবেন।
স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনি সিম কার্ড ছাড়াও ব্যবহার করতে পারবেন এই ফোনটি। পাইফোনে বিস্ময়কর এসফিকিপিকেসন তো আছেই এর পাশাপাশি রয়েছে টেসলার নিজস্ব ইকোসিস্টেম প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে ব্রেইন ও চিন্তা দ্বারা ফোনটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। আপনি যদি আপনার টেসলা কারকে রেখে দূরে কোথাও ছুটি কাটাতে যান তাহলেও আপনি সেখান থেকে পাই ফোনের মাধ্যমে জানতে পারবেন যে, আপনার গাড়ির আশেপাশে কি ঘটতে চলছে বা ঘটতেছে তার নজর রাখতে পারবেন।
দ্রুত চার্জিং সিস্টেম ব্যবহার করে তুলনামূলক খুব কম সময় ব্যাটারীকে ফুল চার্জ করে নিতে পারবেন। আপনি যদি কোন কারণে বিদ্যুতের সাহায্যে ফোনটিকে চার্জ দিতে নাও পারেন সেই ক্ষেত্রে আপনি সূর্যের আলো ব্যবহার করে চার্জ করতে পারবেন অনায়াসেই।
কেননা এখানে সোলার সিস্টেমও যোগ করা হয়েছে। টেসলা পাইফোনে প্রসেসিং স্পিড বাজারের অন্যান্য ফোন থেকে অনেক বেশি। তাহলে টেসলার এই ইকোসিস্টেম ফোনটি গ্রাহকদের কি কি সুবিধা প্রদান করবে তাদের প্রযুক্তিগত এই ফোনটা কতটা আধুনিক হবে। টেসলার পাইফোন কিভাবে তার নিজস্ব ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে দুনিয়াকে জয় করবে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে স্ক্রিপ্ট না করে পুরো পোস্টটি পড়ার অনুরোধ রইল।
পাইফোনের ক্যামেরা
এক সময় মানুষ আপেলের নতুন ফোনটি হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুন্ত। আপনি যদি এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে সেই পুরনো দিনগুলো মনে করতে পারবেন। টেসলা পাইফোন অন্যান্য সব স্মার্টফোন থেকে একেবারেই আলাদা। ইলেকট্রিক কার আর সোলার প্যানেলের একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করার পর টেসলা তার স্মার্টফোন মার্কেটে ছাড়ার উদযোগ নিতে যাচ্ছে। টেসলা পাইফোনের মত ফিচার বর্তমান বিশ্বে আর একটি স্মার্টফোনেও নেই।
টেসলা পাইফোন অনেক আকর্ষণীয় এবং আডভাস্ন ফিচারে পরিপূর্ণ। যেমন আমাদের ফোনের পিছনের ক্যামেরার কথা ধরুন। পাইফোনে যে সবার আগে একাধিক ব্যাক ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে এমনটি নয়।
কিন্তু আপনি হয়তো জানেন না যে, পাইফোনে এই প্রথম এক এক ধরনের কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন লেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। কোন কোম্পানি আন্ডার স্কিন ক্যামেরা দিয়ে এখনো খুব একটা সন্তুষ্ট জনক ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। অন্যদিকে টেসলা দাবি করেছে যে তাদের তৈরি নতুন ফোনে আন্ডার স্কিন ক্যামেরা খুব বেশি সাউন্ড এবং উজ্জ্বল ছবি তুলতে পারবে। ছবি তোলার এনার্জি ইন্ডাস্ট্রিতে এখন টেসলাই সবার সেরা। তা নিয়ে নতুন করে বলার কোন কিছু নেই।
পাইফোনের ব্যাটারি
তারা খুব সহজেই পাইফোনে সোলার চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে। আপনি যদি কোনো কারণে বিদ্যুতের সাহায্যে ফোনটি চার্জ দিতে না পারেন সে ক্ষেত্রে আপনি সূর্যের আলো ব্যবহার করে অনায়াসে ফোনটিকে ফুল চার্জ করে নিতে পারবেন।
এই ফোনে বহু রকম উন্নত ফিচার থাকার কারণে একবার চার্জ দিয়ে বেশ কয়েকদিন চালানো যাবে। কারণ টেসলার ইলেকট্রিক কারে যে প্রযুক্তির ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে ঠিক ঐ একই ধরনের ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে টেসলা পাইফোনে।
টেসলা ছোট ও মাঝারি আকারের কিছু ইলেকট্রিক ট্রাক তৈরি করেছে যার ব্যাটারি অতি দ্রুত চার্জ গ্রহণ করতে সক্ষম। ঠিক একই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে এই পাইফোনে। যা তুলনামূলক খুব কম সময়ে ব্যাটারিকে ফুল চার্জ করে দিতে পারবে। তারা যে প্রযুক্তিতে ইলেকট্রিক কার তৈরি করেছে একই প্রযুক্তিতে পাইফোন তৈরি করেছে। যার ফলে দুটি প্রযুক্তিই উপকৃত হচ্ছে।
ইলেকট্রিক কারের সঙ্গে পাইফোনের সংযোক
এই ফোনে ব্যবহার করা অ্যাপস দ্বারা আপনি টেসলার ইলেকট্রিক কারকে খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এমনকি আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা পাইফোনের সাহায্যে আপনার টেসলা কারের সকল ক্যামেরা একটিভ করে রাখতে পারবেন।
যার ফলে আপনি সবসময় আপনার গাড়িটিকে নজরে রাখতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও আপনি যদি আপনার টেসলা কার টিকে রেখে দূরে কোথাও ছুটি কাটাতে যান তাহলে আপনি সেখান থেকেও পাইফোনের সাহায্যে আপনার গাড়িটির আশেপাশে কি হচ্ছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।
এছাড়া ধরুন আপনার গাড়িটি চুরি হয়ে গেছে, তাহলে আপনি সেই অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজে গাড়িটিকে আপনার নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবেন এবং চোর সহ গাড়িটিকে ধরিয়ে দিতে পারবেন। অ্যাপের মাধ্যমে আপনি গাড়িটির দরজা লক করে দেওয়ায় চোর চাইলেও পালাতে পারবেনা।
আধুনিক ও দক্ষ চিপসের ব্যাবহার
টেসলা অত্যন্ত আধুনিক ও দক্ষ চিপস তৈরি করে বিশ্বব্যাপী সুনাম কুড়িয়েছে। এই চিপস টেসলার ফোনে ব্যবহার করা হবে। যার কারণে ফোনটি খুবই শক্তিশালী একটি ডিভাইডে পরিণত হবে। যা প্রায় যেকোনো ধরনের টাক্স খুব সহজেই পরিচালনা করতে পারবে।
টেসলা পাইফোনে প্রসেসিং স্পিড
টেসলা পাইফোনে প্রসেসিং স্পিড বাজারের অন্যান্য ফোনের থেকে অনেকটাই বেশি। টেসলার এই পাই ফোনের মাধ্যমে আপনি দূরে বসেই আপনার বাসার বিদ্যুৎ উৎপাদন দেখাশোনা করতে পারবেন বা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। আবার চাইলেই সেটা বন্ধ করতে পারবেন।
যখন আপনার বাসার প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে যাবে তখন আপনি চাইলেই সেই বিদ্যুৎ পাওয়ার অল নামক আপনার টেসলার ব্যাটারি স্টোর সিস্টেমে জমা রাখতে পারবেন।এই পুরো প্রক্রিয়াটি আপনি দূর থেকে সহজেই টেসলা ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন। আপনার ব্যাটারি সম্পূর্ণ চার্জ হলে বা চার্জ শেষ হয়ে গেলে আপনার পাই ফোনে নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
পাইফোনে স্টারলিংক ইন্টারনেটের সংযোক
আপনারা হয়তো স্টারলিং সম্পর্কে অবগত আছেন। ইলন মাক্স মূলত মঙ্গল অভিযান সম্পূর্ণ করার জন্য অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে হিসেবে এই স্টারলিংক নামক স্যাটেলাইটের যাত্রা শুরু করেছিলেন। টেসলা পাইফোনকে এই স্টারলিংক এর আল্ট্রা হাই স্পিড স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের সাহায্যে সরাসরি যুক্ত করা হবে। এই ফোনে অত্যন্ত দ্রুতগতির ডাউনলোড ও আপলোড স্পিড থাকবে যা অন্য কোন ফোনে কখনো আশা করতে পারেননি।
স্টারলিংক এর ইন্টারনেট সার্ভিস স্যাটেলাইট নির্ভর হয়। আপনি বিশ্বের যে কোন প্রান্তে থাকুন না কেন ইন্টারনেট নিয়ে আপনাকে কোন চিন্তা করতে হবে না। এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট আইটি সুবিধা হচ্ছে আপনি ফোনটিকে সিম কার্ড ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন। সেলুলার নেটওয়ার্ক না থাকলেও আপনি সহজেই মেসেজ আদান-প্রদান করতে সক্ষম হবেন।
যারা ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা জেনে খুশি হবেন যে এসপেস এক্স মঙ্গল গ্রহে স্টারলিংক স্যাটেলাইট স্থাপনের চিন্তা ভাবনা করছে। মঙ্গল অভিযাত্রীদের কাছে শুধুমাত্র একটি পাইফোন থাকলেই তারা পৃথিবীর সঙ্গে অনায়াসেই যোগাযোগ রাখতে সক্ষম হবে।
পাইফোনে নিউরালিংক প্রযুক্তি
সবচেয়ে বড় এবং আশ্চর্যজনক ঘটনাটি এবার শুনুন পাইফোন ইকো সিস্টেম নিউরালিংকেউ অবদান রাখবে। তা হলো মানুষের মস্তিষ্কে চিপস বসানোর মাধ্যমে। মানুষের মস্তিষ্কে চিপস বোঝানোর কথা আসলেই সাধারণ মানুষ তো বটেই অনেক বিশেষজ্ঞ পর্যন্ত দ্বিধাদ্বন্দে পড়েন।
তবে ইলোন মাক্সের নিউরালিংক মানুষের মস্তিষ্কে চিপস লাগানোর মাধ্যমে শুধুমাত্র মানুষের উপকার করবেন। এমনটাই তিনি বলেছেন। ২০২২ সালে নিউরালিংক মানুষের মস্তিষ্কে চিপস বসিয়ে পরীক্ষা চালানো শুরু করেছিল। আর এই নিউরালিংক প্রযুক্তি থাকবে পাইফোনে। এর মাধ্যমে মানুষ তার মস্তিষ্ক দিয়ে ফোনের মধ্যে সিগনাল পাঠাতে পারবে। পাইফোন স্পর্শ না করে শুধুমাত্র তাদের চিন্তা মস্তিষ্ক থেকে সিগন্যাল গ্রহণ করে তাকে মানুষের বোধগম্য করে মানুষের ভাষায় রূপান্তর করতে সক্ষম হবে।
বর্তমান বিশ্বে এরকম কোন ফোন কোম্পানি নেই যারা এই প্রযুক্তি গুলো ফোনে ব্যবহার করে দেখাতে পারা তো দূরের কথা চিন্তা পর্যন্ত করতে পেরেছে। ইলন মাক্স টেসলা পাইফোনে তার বিস্তৃত ইকো সিস্টেমের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন দুনিয়ায় আধিপত্য বিস্তার করে ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবার একটু চিন্তা করে দেখুন অভাবনীয় এই ফিচারগুলো নিয়ে পাইফোনের দাম কত হতে পারে।