ভুট্টার পুষ্টি গুণ! ভুট্টা হচ্ছে এক প্রকার ঔষধি খাদ্যশস্য। এই ভুট্টায় নানা প্রকার খাদ্যগুন আছে। যা শরীরের নানা প্রকার রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। সে জন্য খাদ্য তারিকায় ভুট্টার পুষ্টি গুণ রাখার দরকার।
রাসায়নিক খাদ্য শস্য
ভুট্টার শস্য দানায় জল, শাই, আঁশ , চর্বি প্রভৃতি তেজস্কিয় পদার্থ আছে।ভুট্টার পাতা ও ডাটায় আছে পটাস, সোড়া, লবণ, চুন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, সালফিউরিক এসিড, ও বালুকা আছে।
গমে যে সকল পুষ্টিকর পদার্থ আছে তার অধিকাংশই এই ভুট্টায় পাওয়া যায়। মানুষ ও পশুগনের জীবন ধারনের জন্য যে সকল ধারনের জন্য যে সকল দ্রব্যের আবশ্যক হয় তার প্রায় অধিকাংশই এই ভুট্টায় পাওয়া যায়। আমেরিকায় ইহা গমের ন্যায় প্রয়োজনীয় খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সারা পৃথীবিতে ধান ও গম এই দুই শস্যের পরেই ভুট্টার চাষ হয়।
ভুট্টার ব্যবহার
১- কর্মশক্তি বৃদ্ধি করে:
কচি ভুট্টা অনেকে আগুনের তাপে ঝলসে খেতে পছন্দ করে। এই ভুট্টা অনেকে খই হিসেবে ভেজে খেতে পছন্দ করে। আবার এটিকে যাতায় বা মেশিনে ভেঙ্গে খাবার বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। ভুট্টা একটি পুষ্টিকর খাবার। ভুট্টার আটাদিয়ে খাবার তৈরি করে খেলে শরীরের বল বৃদ্ধি করে। মানুষ কাজ করার শক্তি পায়। শীত প্রধান দেশে অনেকে সহজে কর্মশক্তি পাবার জন্যে ভুট্টা পুরে খেয়ে থাকে।
২- গাভীর দুধ বৃদ্ধি করে:
গরু বা মহিষের প্রিয় খাবর হচ্ছে কচি ভুট্টার গাছ বা পাতা। তাছাড়া দুগ্ধবতী গাভীর দুধের পরিমান বৃদ্ধি করার জন্য এই ভুট্টার কচি গাছ বা পাতা খেতে দেওয়া হয়।
৩- পিত্তের প্রকোপ কমায়:
পিত্তের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে ভুট্টার মক্কা বা ভুট্টা অনেক উপকার। আজকাল বাঙ্গালিরা আগুনে পুরে বেশির ভাগ ভুট্টা খেয়ে থাকে। এছাড়া টিফিন হিসেবে অনেকে সেঁকা ভুট্টা খেতে ভালবানেসন। একটা খেলেই পেট ভরে যায়।
৪- পপকর্ন তৈরি:
ক্ষেত থেকে তুলে আনা ভুট্টা নুন , গোলমরিচ ও পাতি লেবুর রস দিয়ে মেখে খেলে কৃত্রিম শহরের পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিক থেকে মনে মনে খানিকটা মাটির কাছাকাছি যাওয়া যায়। তাছাড়া শুকনা ভুট্টা বালু দিয়ে ভেজে পপকর্ন হিসেবে খাওয়া যায়।
৫- কফ রোধক:
ঠান্ডার কারনে অনেক সময় সর্দি কফ শুরু হয়ে যায়। ভুট্টা ভাজা খেলে তা কমে যেতে পারে। অনেক সময় পিত্তের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।
৬- রুচিকারক:
ভুট্টা খাওয়ার কারনে মুখের রুচি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া পাতলা মল রোধে এবং পেট শীতল রাখতে সহায়তা করে।
৭- বমি বন্ধ করে:
ভুট্টার দানা বের করে আগুনে পুরে ছাই করে অল্প ছাই হাতে নিয়ে মধুর সঙ্গে একটু খেলে বমি বন্ধ হয়ে যায়।
৮- পুষ্টিকর খাবার:
ভুট্টা পোড়া , পপকর্ন ছাড়াও আজকাল নানান রকম ভাবে সুপ, তরকারি,ও ভাজা হিসেবে খেয়ে থাকে। এছাড়াও ভুট্টা দিয়ে চিনি তৈরি হয়। এক টন আখের রস থেকে যে পরিমান চিনি তৈরি হয় ঠিক সে পরিমান রস এই ভুট্টার গাছের চিনি হয়। তাছাড়াও ভুট্টার অনেক পুষ্টি গুন রয়েছে । সে জন্য ভুট্টা খাওয়া দরকার।