মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়! মানসিক স্বাস্থ্য বা অবসাদ নিয়ে আলোচনা করার আগে স্বাস্থ্য সর্ম্পকে জানা অতি জরুরি। স্বাস্থ্য বলতে আমরা সাধারনত বুঝে থাকি রোগমুক্ত এবং স্বাস্থ্য কর জীবনকে। ব্যাপক ভাবে এটা গুরুত্ব পূর্ন যে শারীরিকতার সাথে মানসিকতা অতিব জরুরী। আমরা যে কাজই করে থাকি না কেন সেক্ষেত্রে শরীর এবং মন দুটোই ভাল রাখতে হবে। শরীর মন ভাল না থাকলে কাজে অনিহা আসে এবং কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়।
যে ব্যক্তি পরিবেশের সাথে সঙ্গতি বজায় রেখে কাজ করতে পারে সে ব্যক্তি মানসিক দিক থেকে সুস্থ । কোন কোন সময় অতিরিক্ত কাজের ফলে লোকের কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। আবার একই ব্যক্তি দীর্ঘ সময় একই কাজ করার ফলে কাজে অনিহা আসে এবং শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে অনেকটা পরিবর্তন আসে। ব্যক্তির কাজের এ অনিহা কে মানসিক ক্লান্তি বা অবসাদ বলে।
মানসিক দিক থেকে স্বাস্থ্যঃ
সাধারনভাবে মানসিক স্বাস্থ্য বলতে “Full and harmonious funcationing of the whole personality” কে বোঝায় । খেলাধুলা করলে যেমন শারীরিক ভাবে সুস্থ্য থাকা যায় ঠিক তেমনি মানসিক ভাবে সুস্থ্য থাকতে হলে দেহ ও মনের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে। আর ব্যক্তির মধ্যে মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে মানসিক সুস্থ্যতা অনেকটা কাজ করে থাকে। যে ব্যক্তি নিজের চাহিদা মিটিয়ে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে চলতে পারে সে ব্যক্তি মানসিক দিক থেকে সুস্থ্য।
ছাত্র ছাত্রীদের জীবনে মানসিক শান্তির ভূমিকাঃ
শিক্ষার্থীদের মানসিক শান্তির একটি গুরুত্বপূর্ন দিক হচ্ছে খেলাধুলা। দেহের যে কোন একটি অঙ্গের ক্রিয়ার যদি কাজ করা বন্ধ থাকে তাহলে দৈহিক অসুস্থ্যতা দেখা দেয়। তেমনি মানসিক প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে কাজ না করলে মানসিক অসুস্থ্যতা দেখা দেয়। সেজন্য খেলাধুলা বা প্রতিযোগিতার প্রতি শির্ক্ষাথীদের অধিক মনোযোগি হতে হবে।
খেলাধুলা শুধু শারীরিক কসরতা দুর করে না এর সাথে জয় পরাজয় বা আনন্দ বেদনা জড়িত থাকে। তবে একজন ক্রীয়াবিদ শারীরিক ভাবে সুস্থ্য থাকে তখন যখন সে মানসিক ভাবে সুস্থ্য থাকে। কারন শারীরিক ও মানসিক সুস্থ্যতা একে অপরের পরপিূরক।
জয় পরাজয়ের খেলোয়াড়ের প্রতিক্রিয়াঃ
একটি শির্ক্ষাথী খেলাধুলায় জয় লাভ করার জন্য উফুল্ল হয় এবং পরবর্তীতে আরো ভালো কাজ করার জন্য আরো আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠে। তার এই ফলাফল ধরে রাখার জন্য প্রশিক্ষনের প্রতি মনযোগী হতে হবে । ভালো ফলাফলের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করতে হবে।
এরুপ জয়ের ফলে তার মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী , নিজেকে বড় করে দেখা । সেজন্য খেলোয়ার বিজয়ী মানসিকতা ভাল মন্দ দুই ধরনের হতে পারে। আবার কেউ পরাজিত হলে হতাশার সৃষ্টি হয় এবং অন্যের উপর দোষ চাপাঁয় । মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
অনেকে আবার মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে খেলাধুলা ছেরে দিতে পারে। এই জয় পরাজয় কেউ কেউ স্বাভাবিক ভাবে নিতে না পারলে মানষিক চাপের সৃষ্টি হয় এবং কাজকর্মে অসংগতি দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে ক্রীড়া শিক্ষক বিজয়ী খেলোয়াড়ের সাথে একত্রে কাজ করে তার মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ্য রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।
শারীরিক সুস্থতার সাথে সামন্জস্য রেখে স্বাস্থ্যবিধী মেনে মাপনসিক স্বাস্থের উন্নতি করলে যে কোন খেলোয়াড় তার জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।
মানসিক সুস্থ্যতা দেহ ও মনের সুস্থ্যতা রক্ষা করে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি না হলে কেউ সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করতে পারে না। আবার জয়ের মাধ্যমে কারোর মধ্যে নেতিবাচক প্রভাবও পড়তে পারে। যেমন তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়ে নিজেকে বড় মনে করে দেখে। ফলে বিজয়ী খেলোয়ার মানসিকতায় ভালোমন্দ দুই ধরনের মনোভাব সৃষ্টি হতে পারে।